গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল। এর মধ্যে আজ বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে রাজধানী ঢাকা। আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ২৬১। বায়ুর এমন অবস্থাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

বায়ুদূষণে ঢাকার এ অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৪৩।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (৩৬৮) ও মাদানি সরণির বেইজ এজওয়াটার (৩১৬) এবং ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (২৮৮)।

রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে। কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকায় জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১০০, রাজশাহীতে ১৬৯ ও খুলনায় ১৫৬।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩৭ গুণ বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আবারো সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্তে পণ্য চোরাচালানের সময় স্থলমাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (৪২) নামের এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তার পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে চাকঢালা সীমান্তে ৪৪ নাম্বার পিলারের কাছে শূন্যরেখায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুস সালাম চাকঢালা সদর ইউনিয়নের চেরারমাঠ এলাকায় মৃত আফজালের ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পণ্য চোরাচালান করেন। প্রতিদিনের মতো আজ দুপুরে বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে চোরাই পথে মিয়ানমারে যান সালাম। ফেরার পথে চাকঢালা সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলারের কাছে শূন্যরেখায় আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে আব্দুস সালামের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মাইন বিস্ফোরণের বিষয়ে শুনেছি। আহত ব্যক্তিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তিনি কী কারণে সীমান্তের ওপারে গেছেন, কীভাবে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন, তা জানি না। সীমান্ত দেখভাল করে বিজিবি। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন ওসি মো. মাসরুরুল হক।  

এর আগে গত ২৬ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লেমুছড়ি সীমান্তবর্তী ৪৯ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ বাবু নামের এক জন আহত হন।

ঢাকা/চাইমং/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ