পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ। তিনি এর আগে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

তথ্য মতে, নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ১৯৯৭ সালে বেসিক ব্যাংকে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেতে পেতে তিনি ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা পদে আসীন হন। ২০২৩ সালের মে মাসে তাকে পদোন্নতি দিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস থেকে সিএমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথের আগে আবুল হোসেন আইসিবির এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস ব

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। এক সপ্তাহের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ শনিবার দুপুরে নগরের চৌহাট্টা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মাসুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাবেক উপাচার্য এনায়েত হোসেন তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে দুই দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে এখনো নিয়োগপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার গা ঢাকা দেন। পরে রেজিস্ট্রার ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন এবং ৭ নভেম্বর উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসনের অনুরোধে ১৫ দিনের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে উপাচার্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্থায়ী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নাজমুল ইসলামকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।

পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে ৬ ডিসেম্বর অনিয়মিত নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দেন। পরবর্তী সময়ে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সাবেক উপাচার্য এনায়েত হোসেন পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন উপাচার্য হিসেবে ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী যোগ দেন। তিনি যোগ দেওয়ার পর ১৬ মার্চ অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ২৩ মার্চের সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির সভাপতি না থাকায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। সিন্ডিকেট সভার পর থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে আর অফিস করেননি। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের স্বৈরাচারের দোসরদের দিয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস 
  • বাংলার অজানা স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ
  • বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • মামলায় আটকে আছে ইকোপার্ক
  • খুলনায় আ.লীগের মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার দাবি এনসিপির
  • বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ
  • অস্ত্রোপচার সম্পন্ন না করেই রোগীর পেট সেলাইয়ের অভিযোগ
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
  • সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি
  • ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে