বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সনদ অনলাইনে সত্যায়নে চুক্তি স্বাক্ষর
Published: 19th, February 2025 GMT
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সনদ সত্যায়ন আরো সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর মাধ্যমে মাইগভ প্ল্যাটফর্মে সনদ সত্যায়নের আবেদনে ন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে ‘একপে’ ব্যবহার করে ইউজিসির আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা সেবার ফি দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো.
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কমিশনের ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, যুগ্মসচিব তাহমিনা রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও মো. গোলাম মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর এসএমএ ফায়েজ বলেন, “সমন্বিত অনলাইন সত্যায়ন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরণের সনদ সত্যায়নের ফি এখন থেকে একপে গেটওয়ের মাধ্যমে জমা দিতে পারবে।” অনলাইনে সনদ সত্যায়নের এই উদ্যোগ সফল বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নজরুল ইসলাম বলেন, “দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অনলাইন সনদ সত্যায়নের অভীন্ন প্লাটফর্মে নিয়ে আসা খুবই কঠিন ছিল।”
এই প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য তিনি ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান। দেশের বাইরের দূতাবাসেও অনলাইন সনদ সত্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএলে মাঠেই কেন ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য নেই। এবার আইপিএল শুরুর আগে কথাটা বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। এর আগে–পরে বলেছেন আরও অনেকেই। কারণটা প্রায় সবার জানা। টি–টোয়েন্টিতে এখন দলগুলো ২০০ পেরিয়ে ৩০০ রান তোলার চেষ্টায় মত্ত। রাবাদার মতে, এভাবে চলতে থাকলে খেলাটির নাম ‘ক্রিকেট’ পাল্টে ‘ব্যাটিং’ রাখা উচিত।
রাবাদার এ কথা নিশ্চয়ই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কানেও পৌঁছেছে। তাই গত রোববার জয়পুর ও দিল্লিতে আইপিএলের দুটি ম্যাচে দেখা গেছে অন্য রকম এক দৃশ্য। দুটি ম্যাচেই মাঠের আম্পায়াররা ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করেন। আইপিএলের ইতিহাসে এমন কিছু এর আগে দেখা যায়নি। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, আইপিএলে এবারই প্রথমবারের মতো মাঠের আম্পায়ারদের ম্যাচের মধ্যেই ব্যাটের আকার পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুনচূড়ান্ত হলো ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি৫ ঘণ্টা আগেব্যাট নিয়মসিদ্ধ আকার অনুযায়ী বানানো হয়েছে কি না, সেটা একটি মাপার বস্তুর মাধ্যমে মাঠেই পরীক্ষা করেন আম্পায়াররা। অতীতে এ পরীক্ষাগুলো ড্রেসিংরুমে করা হতো। কিন্তু রোববার খেলার সময় মাঠেই তা দেখা গেছে। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট যদি নিয়ম অনুযায়ী বানানো হয়, তাহলে এ যন্ত্রের সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যাবে কিংবা সহজেই এই মাপের মধ্যে প্রবেশ করবে। আকার বড় হলে প্লাস্টিকের এই ত্রিভুজাকৃতির গেজের মধ্যে ব্যাটটি প্রবেশ করবে না কিংবা বাধাপ্রাপ্ত হবে। গেজের গায়ে ব্যাটের নিয়মসিদ্ধ আকারও লেখা আছে—পুরুত্ব ২.৬৮ ইঞ্চি, চওড়া ৪.৩৩ ইঞ্চি, কানা ১.৬১ ইঞ্চি এবং ব্যাটের উল্টো দিকে থাকা বাঁকানো অংশ হবে ০.২০ ইঞ্চির মধ্যে।
ব্যাটের আকার মাপার গেজ