একটু ছাড় দিয়ে মিত্রতা বাড়ালে দেশের জনগণ উপকৃত হবে: মাহফুজ আলম
Published: 19th, February 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। আলোচনায় রয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল। দেশের চলমান এমন পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের কল্যাণের জন্য ছাড় দিয়ে মিত্রতা বাড়ানোর কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এ কথা বলেন।
‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে’ শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সে জন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইসে। ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে, তারা অবশ্যই পাবিলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা- স্কুল- কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।”
তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে।”
মাহফুজ আলম আরো বলেন, “সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতকদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবাটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেন’স অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যাঁরা ভাবেন, তাঁরা নিজেদের শুধরে নিন।”
তিনি বলেন, “তার কোনো কোনো বক্তব্য হয়তো কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদি জনতা বলাটা। যাঁরা তাঁর বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, তিনি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।”
এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তাঁর বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তাঁরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।
মাহফুজ আলম বলেন, “আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র র জন য র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে যা বললেন জিএম কাদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, “আওয়ামী লীগ একটি গাড়ির ন্যায়। সেই গাড়ির ভেতরে থাকা ড্রাইভার খারাপ হতে পারে, কিন্তু গাড়িটি খারাপ না। কাজেই এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। এগুলো না বুঝে, দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বাইরের রেখে ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। তাই দলটিকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না।”
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে দুই দিনের সফরে রংপুরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, “পুলিশ বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, যে কারণে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে। এখন সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। যা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতির আগে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষা করা জরুরি। এজন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
‘ক্লিন ইমেজের’ আড়ালে ‘কলঙ্ক’, দুদকের জালে জিএম কাদের
দেশে মবক্রেসি চলছে, জানমালের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের
তিনি বলেন “আমেরিকা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এখন সরকার যদি প্রমাণ করতে না পারে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নেই, তাহলে সামনে বড় সংকট আসতে পারে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বিভিন্নভাবে দেশে মৌলবাদের উত্থান ঘটছে। মব জাস্টিস হচ্ছে, অথচ এসব দমনে বর্তমান সরকার ব্যর্থ। ফলে আগামীতে এসব কারণে দেশের জনগণ চরম বিপদের মুখে পড়তে পারে।”
জিএম কাদের বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ দুর্যোগময় পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। জনগণের আস্থার জায়গা পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বিচার বিভাগ অপব্যবহার হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো আর সহজ হবে না।”
জাতীয় পার্টির এই নেতা জানান, নব্য ফ্যাসিবাদীরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অতীতে শেখ হাসিনার মতো তার ইমেজ নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত সময়ে সব বাহিনী চেষ্টা করেও দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি তার বিরুদ্ধে। অথচ এখন নতুন করে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। যা কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা বলেও মনে করেন তিনি।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ