সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তাকে এ মর্যাদা দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব পদে তার কর্মকালীন সরকারের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হলো।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.
১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব নিয়োগ পান সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম। তখন তাকে সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
এনজে
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও চার নতুন প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি–পিপি শাখা)। এ নিয়ে চিফ প্রসিকিউটরসহ সব মিলে ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়াল।
প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবী হলেন আফরোজ পারভীন সিলভিয়া, মো. মামুনুর রশীদ, আবদুস সাত্তার ও এস এম তাসমিরুল ইসলাম। তাঁদের পদমর্যাদা হবে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমপর্যায়ের। প্রাপ্য রিটেইনার ফি ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধায় চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ নেওয়া হয়েছে।
নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩–এর সেকশন ৭(১) অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য চারজন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রসিকিউটর পদে (উল্লিখিত পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ) নিয়োগ দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে এবং সুপ্রিম কোর্টের চারজন আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর আরও কয়েকজন আইনজীবীকে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এই ট্রাইব্যুনালে ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থাকা মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর এই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সদস্যদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা (মিস কেস) হয়েছে।