সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পতিত আওয়ামী সরকারের সামরিক সচিব ও সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তার শ্যালক জাকির হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নেন রুদ্রপুর গ্রামে ‘শ্যামলছায়া পার্কে’ তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত ছাত্রজনতা। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সালাহউদ্দিন মিয়াজী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কোতয়ালি থানার ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌথবাহিনী সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তার শ্যালককে হেফাজতে নিয়েছে। এখনো তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ও প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব.

) সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তার শ্যালক দীর্ঘদিন তাদের মালিকানাধীন শ্যামলছায়া পার্কে অবস্থান করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্যামলছায়া পার্কের প্রধান ফটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক জনতা ঘিরে ফেলে। এসময় তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। এসময় তারা উত্তেজিত ছাত্রজনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তার শ্যালককে হেফাজতে নেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। তাদের কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এখানে শেখ হাসিনার ডামি এমপি মিয়াজী আত্মগোপনে রয়েছে শুনে আমরা পার্কে আসি। কিন্তু আমাদের মারধর করেন পার্কের লোকজন। পরে লোকজন জড়ো হয়ে পার্ক ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন।

এনজে

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন ম য় জ হ ন র সদস য ব হ ন র সদস খবর প

এছাড়াও পড়ুন:

আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ

উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রা.) একজন বুদ্ধিমতী নারী সাহাবি। তিনি ইসলাম গ্রহণকারী আনসারদের মধ্যে অন্যতম এবং খ্যাতিমান সাহাবি আনাস ইবনে মালিকের (রা.) মা। আনাসের বাবা মালিক ছিলেন উম্মে সুলাইমের মুসলিম হওয়ার আগের স্বামী। উম্মে সুলাইম ও আনাস ইসলাম গ্রহণ করলে স্বামী ক্ষোভে স্ত্রী-পুত্র ত্যাগ করে চলে যান। বিধবা হয়ে পড়েন উম্মে সুলাইম (রা.)।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘একবার স্বপ্নে আমি জান্নাতে প্রবেশ করি। হঠাৎ আমার সামনে কারও জুতার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করলাম, কে? তারা বললেন, আনাস ইবনে মালিকের মা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫৬)

শিশু পুত্র আনাসকে নিয়ে কাটছিল তার দিন। উম্মে সুলাইম (রা.) ঠিক করলেন, আনাস বড় না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়ে করবেন না। আনাস যখন তার মায়ের বিয়েতে মত দেবে তখনই তিনি বিয়ে করবেন। একসময় আনাস উপযুক্ত বয়সে উপনীত হন।

আরও পড়ুনজীবনে একবার হলেও যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি (সা.)১৩ মার্চ ২০২৫

সে সময় আবু তালহা আল আনসারি নামে এক লোক উম্মে সুলাইমকে পছন্দ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু তালহা মুসলিম ছিলেন না। তাই তিনি বিয়েতে অমত করলেন। আবু তালহা বললেন, ‘তুমি অর্থকড়ি চাও? আমি তোমাকে মূল্যবান সবকিছুর বিনিময়ে বিয়ে করতে চাই।’ উন্মু সুলাইম (রা.) বললেন, ‘না, আমি তোমার মধ্যে ইসলাম চাই।’

অবশেষে আবু তালহা ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। উম্মে সুলাইমের (রা.)-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের মোহর হয় ‘আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ’। সাবিত (রা.) বলেছেন, উম্মে সুলাইমের বিয়ের মোহরের চেয়ে উত্তম মোহরের কথা আমরা আর শুনিনি। আবু তালহার ইসলাম গ্রহণের যুগপৎ এই সিদ্ধান্ত ও তাঁদের বিয়ে আরবে সেসময় বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। বলা হয়, ইসলামের ইতিহাসে এটিই ছিল বিয়েতে সবচেয়ে মূল্যবান মোহর।

উম্মে সুলাইম (রা.) যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক হয়েছিলেন। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি আয়েশা (রা.) ও আমার মা উম্মে সুলাইমকে যুদ্ধের দিন মশক ভরে পানি এনে আহতদের পানি পান করাতে দেখেছি। মশক খালি হয়ে গেলে তারা আবার ভরে এনে পান করিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, ২/৫৮১)

আরও পড়ুন ধৈর্য কাকে বলে১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ