ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, কোনও শান্তি চুক্তির অধীনেও ইউক্রেনে ন্যাটো দেশগুলোর শান্তিরক্ষা বাহিনী রাশিয়া গ্রহণ করবে না।

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর ল্যাভরভ বলেন, অন্য কোনও পতাকার নিচে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি কিছুই পরিবর্তন করে না। এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া শিগগিরই একে অপরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে এবং সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরিবেশ তৈরি করবে।

এদিকে, বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার প্রথম ধাপ ছিল আজ, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ বিষয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার আসন পেয়ে এসেছে এবং আগে থেকেই এই সংকট সমাধান করা সম্ভব ছিল।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধের ক্ষমতা রাখেন এবং রাশিয়াও সংঘাতের অবসান চায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।

ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।

সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ