আট ব্যাংকে ৯৯৭ পদে নিয়োগ, আবেদন করেছেন কি
Published: 19th, February 2025 GMT
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৯৯৭ জন সাধারণ অফিসার নেওয়া হবে। গত ৯ জানুয়ারি এসব পদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। যাঁরা এখনো আবেদন করেননি, তাঁরা দ্রুত আবেদন করতে পারেন। কারণ, আবেদন শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।
অফিসারের ৯৯৭টি পদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ৫৪৬ জন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১২০, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৬, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৭১, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২৫, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৫, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২৩ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ১ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনবিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বিধিমালা চূড়ান্ত পিএসসির২০ ঘণ্টা আগেযেকোনো বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ২০ ফেব্রুয়ারি। এ পদে নিয়োগ পেলে বেতন স্কেল হবে ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা। আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জব আইডি নম্বর ১০২২১। আবেদন ফি বাবদ ২০০ টাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এ লিংকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনরোমানিয়ায় বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদনের পদ্ধতি জেনে নিন১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।