ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।’

মঙ্গলবার কুয়েটে হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন,  ‘যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক- এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।’

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি- ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ঘটনায় রাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাকে লালকার্ড ও আধিপত্যের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। 

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই, জুলাই-আগস্ট ভুলি নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’ নানা স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
 
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ‘ছাত্রদল নির্যাতিত একটা দল, ১৬ বছর ধরে আপনারা নির্যাতিত হয়েছেন বলে এই না, আপনারা নির্যাতন করার অধিকার পেয়েছেন। আজকের হামলার ঘটনা সারাদেশের ছাত্রজনতা লালকার্ড দেখিয়েছে। আমরা চাই আপনারা সুস্থ ধারায় আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করুন। নতুন বাংলাদেশে আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছিলাম। অনেক ছাত্র-জনতা আছে, যারা ৫ আগস্টের পর রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখছেন। এখনো যদি আধিপত্যবাদ, অস্ত্র, সন্ত্রাসী হামলা, রক্তাক্ত রাজনীতি দেখতে হয়, তাহলে এই অভ্যুত্থান করে কী লাভ হল? আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।’

ছাত্রদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হবে।’
 
কুয়েটের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে বলে মন্তব্য করে আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, ‘ছাত্রদল যদি ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, এর ফলাফল ভালো হবে না। এই হামলার দায় স্বীকার না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল একটি ঘৃণ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, আমরা এটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই হামলায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রদলকে দোষারোপ করতে কুয়েটে হামলা চালায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবির
  • ছাত্রলীগ গেছে যে পথে, আপনারা যাবেন সে পথে: ছাত্রদলের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ
  • কুয়েটের ঘটনায় রাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ