খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ‘সন্ত্রাসী’ হামলার তীব৶ নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে। এরপর বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘৭১–এর গণহত্যা’ ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা সন্ত্রাস এক সাথে চলে না’, ‘কুয়েটিয়ান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘কুটিয়ানদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সাঈদ থেকে মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ও ‘যেই হাত ছাত্রদলের, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো.

নুর নবী বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছি। যদি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আবার জীবন বাজি রাখতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত আছি। ছাত্র–জনতা একসঙ্গে দেশ গড়বে, সেখানে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী কার্যক্রম কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ মুখপাত্র সিয়াম হোসাইন বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে আমাদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। সেই একই কায়দায় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখনই সময় তাদের প্রতিহত করার। না হলে অদূর ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের মতো তারাও আমাদের ওপর চড়াও হবে। যদি আবারও এই অবস্থা তৈরি হয় তাহলে গণ–অভ্যুত্থানের মতো আবারও আমরা এক হয়ে আন্দোলনে নামব।’

আরও পড়ুনকুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা১ ঘণ্টা আগে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, ‘যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তারা শিক্ষার্থী হতে পারে না। সন্ত্রাসীরা কোনো ছাত্র হতে পারে না। ট্যাগিং দিয়ে রাজনীতির পথ বন্ধ করবেন না। সব কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে। ছাত্র এবং সন্ত্রাসী একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি কোনো ছাত্রের ওপর হাত তোলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না।’

আরও পড়ুনছাত্রলীগ গেছে যে পথে, আপনারা যাবেন সে পথে: ছাত্রদলের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় বিজিবিএ ও বিজিএমইএর

দেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। বিজিবিএর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দুই সংগঠনের নেতারা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে শনিবার বিজিবিএ সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায় সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য বিজিবিএর। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে বিজিএমইএ ও বিজিবিএর মধ্যে যে দূরত্ব সেটি কমিয়ে আনতে হবে। বিজিএমইএ, বিজিবিএ ও বিকেএমইএকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম, জেএফকে সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, টর্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন, এজিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল, বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম সাইফুর রহমান ফরহাদ।

বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, টেকসই বাণিজ্যের জন্য বিজিবিএ ও বিজিএমইএর মধ্যে যে গ্যাপ সেটি দূর করতে হবে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি, সেটি নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।

বিজিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম সাইফুর রহমান ফরহাদ বলেন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে, সেগুলো মোকাবিলা করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বায়িং হাউস সেক্টরে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, লাখ লাখ পরিবার এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল, সবার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর সহায়তা জোরদার করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় বিজিবিএ ও বিজিএমইএর
  • পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে হবে ঈদের বড় জামাত: আসিফ মাহমুদ
  • পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে হবে ঈদের বড় জামাত, থাকবে আনন্দ মিছিল ও মেলা: আসিফ মাহমুদ
  • ঈদ আর বিজুর বিক্রি একসঙ্গে
  • ঈদের আগে বাড়িতেই নিন পেডিকিউর
  • নতুন পরিচয়ে আসছেন সিয়াম-হিমি
  • অজয়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন এশা