শেরপুরে কলেজছাত্র সুমন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী ও নিহত সুমনের স্বজন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম, মা কল্পনা বেগম, জেলা জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান, সদস্য সচিব শাহনুর রহমান সাইম, মুখপাত্র ফারহান ফুয়াদ তুহিন প্রমুখ।
গত বছরের ১১ নভেম্বর রাতে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, ৪ নভেম্বর রাতে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সুমনকে অচেতন করে গলাটিপে হত্যা করে তার প্রেমিকা আন্নি ও প্রেমিক রবিন। হত্যার পর রবিনের বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সহপাঠী আন্নি আক্তার সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের সঙ্গেও প্রেম করত। গত ৪ নভেম্বর বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সুমনকে ডেকে নেয় আন্নি। পরে দু’জনে মিলে সুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। এ ঘটনায় সহযোগিতা করে রবিনের পরিবার। পুলিশ আন্নি তার বাবা আজিম মাস্টার ও প্রেমিক রবিনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু রবিনের পরিবারের কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা দাবি করেন, সহযোগিতা না পেলে বাড়ির উঠানে কোনোভাবেই লাশ মাটিচাপা দেওয়া সম্ভব হতো না। তাই হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে যদি অন্য কারও নাম আসে, অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স মন র

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ