Samakal:
2025-04-26@02:29:27 GMT

বসন্তে চুলের যত্ন

Published: 18th, February 2025 GMT

বসন্তে চুলের যত্ন

শীতের রুক্ষতা শেষে প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে। চুল পড়া, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা বেড়ে যায় শীতে। বসন্ত খানিকটা স্বস্তির শ্বাস ফেলার সময়। তাই বলে একেবারে চুলের যত্ন নেওয়া বন্ধ করলে হবে না। কেননা, এ সময় ভ্যাপসা গরমে চুলের বারোটা বাজে। তাছাড়া বাইরের দূষণ ও ধুলাবালি তো আছেই। প্রাণবন্ত ও সুন্দর চুলের জন্য যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর পাশাপাশি চুলের ধরন বুঝে তেল মালিশ, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।  
শোভন মেকওভারের কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা জানান, এ সময় নরমাল চুলের যত্নে ডিপ ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। চুলে যেন রুক্ষভাব না আসে, এ জন্য কন্ডিশনার ময়েশ্চারাইজড হতে হবে। কন্ডিশনার ধোয়ার পর সিরাম দিয়ে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। 
তিনি জানান, রঙিন চুলের যত্নে কালার প্রোটেক্টেড শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে কালার প্রোটেক্টেড কন্ডিশনার। হিট প্রোটেক্টেড সিরাম দিয়ে চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। এ আবহাওয়ায় বেশি দেরি না করে এক দিন পরপর চুলে শ্যাম্পু করলে চুল ভালো থাকবে। যারা বাইরে কাজ করেন, ধুলাবালির মধ্যে দিয়ে যাওয়া-আসা করেন তাদের চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত। বাড়িতে সময় না পেলে এ সেবাগুলো পার্লার থেকেও নিতে পারেন। 
নির্জীব ও রুক্ষ চুলের যত্ন
শীত চলে গেলেও এ সময় চুলের সমস্যা রয়ে যায়। যত্নের অভাবে কারও কারও চুল অনেক রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। আগা ফেটে যায়। গরম পড়তেই স্ক্যাল্প ঘামতে শুরু করে এবং চুলের গোড়া স্যাঁতসেঁতে ও ময়লা হয়ে যায়। এ জন্য নিয়ম মেনে চুলে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল ধুতে ভারী কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুলের স্বাভাবিক ময়েশ্চার নষ্ট হবে। খুশকি থাকলে শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে মাথার ত্বকে কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। রূপবিশেষজ্ঞের ভাষ্যমতে, খুশকি তাড়াতে মেথি ও লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আবার চুলকে রুক্ষ করে তোলে। তাই চুল ধোয়ার পর ভালো মানের কন্ডিশনার লাগালে উপকার পাবেন। 
নির্জীব চুলের যত্নে দুটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এটি পুরো চুলে লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করুন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরে আধা ঘণ্টা রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নিন।   
কোন ধরনের হেয়ার প্যাক?
হেয়ার প্যাকের ঘরোয়া কনসেপ্টগুলো বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে মনে করেন শোভন সাহা। তিনি মনে করেন, চুলের যত্নে বাজারে যেসব হেয়ার মাস্ক ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করাই ভালো। কারণ হারবাল পণ্যগুলো বাস্তবে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। তারপরও কেউ যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু প্যাক তৈরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে রঙিন চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। মধু চুলের কালারকে আরও উজ্জ্বল করবে। যাদের চুল স্বাভাবিক তারা চুলকে আরও সফট করার জন্য টকদই ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় এমন ধরনের হেয়ার মাস্ক বা প্যাক ব্যবহার করা, যেখানে চুলের জন্য উপকারী সব ধরনের প্রোটিন আছে।  
ডায়েটেও নজর রাখুন 
চুল ভালো রাখতে ডায়েটেও নজর রাখতে হবে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, বায়োটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি রাখতে হবে। এ জন্য তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা; সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি খেতে হবে। এসব মাছ চুলকে ঘন ও কালো করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে হবে। কেননা, ডিমে উৎকৃষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন আছে। এ ছাড়াও আছে সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-১২। তিসি, তিসির তেল, কুমড়ার বীজ, চিয়া বীজ, সয়াবিন ইত্যাদি খেতে হবে। ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে আখরোট, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম খেতে হবে। কেননা, বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাট থাকে। বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি এবং রঙিন শাকসবজি যেমন পালংশাক, টমেটো, গাজর ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। সুন্দর চুলের জন্য প্রোটিন ও আয়রন দরকার। তাই স্বল্পমূল্যে প্রোটিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণে ডাল খেতে পারেন। ডালে জিংক ও ফোলেটও রয়েছে। এ ছাড়া ছোলা, টক দই, টক ফল যেমন বরই, আমলকী, লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। v

মডেল: জান্নাত আরা
ছবি: কাব্য

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করত চ ল র জন য চ ল র যত ন ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডির যুগপূর্তি এবং গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ

চলতি বছরের ১৮ মার্চের ঘটনা। সাংবাদিকতার জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় ইতালির সংবাদপত্র ইল ফোইও।বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই সংবাদপত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লেখা ‘এআই সংস্করণ’ প্রকাশ করে।এই সংস্করণের প্রতিটি লেখা এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।পত্রিকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে তারাই বিশ্বের প্রথম পুরো ছাপা সংস্করণের সংবাদগুলোয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে।একই সঙ্গে তা অনলাইনেও ব্যবহার করা হয়।চার পাতায় ২২টি খবর ও ৩টি সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়।পত্রিকাটির নিয়মিত সংস্করণের পাশাপাশি এআই সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।এসব পাতায় খবরের মধ্যে ঠাঁই পায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির বক্তব্যের বিশ্লেষণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপ নিয়ে সম্পাদকীয়, ফ্যাশন দুনিয়ার খবরের মতো নানা বৈচিত্র্যময় খবর।

ইল ফোইওর পরিচালক ক্লডিও সেরাসা এআই নিয়ে পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘দুটি উদ্দেশ্যে এ পরীক্ষা চালানো হয়। একটি হচ্ছে তত্ত্বকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা। অন্যটি হচ্ছে, নিজেদের পরীক্ষা করা এবং এআইর সীমা বোঝা। পাশাপাশি এর সুযোগ ও সীমাবদ্ধতাগুলো খতিয়ে দেখা। আমাদের মতো একটি বিশেষ সংবাদপত্র থেকেই এসবের উদ্ভব হতে পারে। কারণ, আমাদের সংবাদপত্রটিতে বিদ্রূপাত্মক ও সৃজনশীল লেখা তৈরি করা হয়। আমরা এমন কাজ করি যা যন্ত্র দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় না। আমাদের লক্ষ্য ছিল, বিশেষত্ব প্রদর্শনের সঙ্গে কিছু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ইচ্ছা যা বিশ্বের কেউ কখনো করেনি।’

প্রিয় পাঠক, আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইল ফোইও ইতালির বেশ পরিচিত পত্রিকা।এর প্রচার সংখ্যা ২৯ হাজার।

দুই.
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানে সাংবাদিকতা শেষ হয়ে যাবে, নাকি এর পুনর্জন্ম হবে, প্রযুক্তি ও সংবাদপত্র দুনিয়ায় সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একটু পেছনের সময়ের কথা বলি। ২০২৪ সালের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘সংবাদপত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা’ নিয়ে ইতালির পেরুগা শহরে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতা উৎসব।এই উৎসবে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল তার মধ্যে রয়েছে-নিউজরুমগুলোকে সহায়তা বা সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটুকু ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এএফপির খবরে বলা হয়, দ্রুত উত্থান ঘটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই)। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই প্রযুক্তির কারণে সাংবাদিকেরাও এখন নৈতিক ও সম্পাদকীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিন.
গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ এর ঘটনা।সেদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙার কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরে।ভিডিওতে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের কয়েকটি অংশের ইট খুলে ফেলা হয়েছে, স্তম্ভের ওপর ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা অংশ।কিছু অংশের প্লাস্টারও খসে পড়েছে।এমন ভিডিও দেখে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় জনমনে।আমার মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। পরের দিন আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি, ভেঙে ফেলার বিষয়টি সঠিক নয়। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেন, ফেসবুকের কারণে এসব ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, মানুষকে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ভাঙা হচ্ছে না। এখানে চলছে সংস্কার কার্যক্রম।

চার.
প্রিয় পাঠক, উপরের কয়েকটি ঘটনায় আপনারা বুঝতে পারছেন গণমাধ্যমের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসছে।নিউ মিডিয়ার যুগে সংবাদমাধ্যম এখন নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।মিথ্যা তথ্যে ভরা খবরের ভিড়ে সঠিক খবর খুঁজে বের করা দিন দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৬৮টি ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, কনটেন্ট চুরির ঝুঁকি বার্তাকক্ষগুলোতে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “একটি ভালো খবর তৈরি করতে অর্থ ও সময় বিনিয়োগ করতে হয়, ভালো বেতন দিয়ে দক্ষ সাংবাদিক রাখতে হয়। অথচ দেখা যায়, এই পদ্ধতিতে একটি কনটেন্ট তৈরি করে সেই সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করামাত্রই চুরি হয়ে যায়; অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সেটি এদিক-সেদিক করে প্রকাশ করে দেয়।এই চুরি ঠেকাতে হবে।এদের জন্য সাংবাদিকরা ভালো বেতন পাচ্ছেন না; তাদের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না।”

পাঁচ.
‘গণমাধ্যম বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ’ নামে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি গণমাধ্যম সম্পর্কে মানুষের মতামত জানার জন্য দেশব্যাপী একটি জরিপ করে।এর উদ্দেশ্য ছিল মানুষ গণমাধ্যমকে কত সহজে পান, কীভাবে ব্যবহার করেন, কতটা বিশ্বাস করেন আর গণমাধ্যম কতখানি স্বাধীন, সে সম্পর্কে ভাবনা জানা। এই জরিপে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মাত্র ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন, যেখানে ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ মনে করেন, এটি অনেকটা স্বাধীন। বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ (৭৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ), সরকারি নিয়ন্ত্রণ (৭১ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং ক্ষমতাশালীদের প্রভাব (৫০ দশমিক ১৪ শতাংশ) গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে বাধা। প্রায় ৪৭ দশমিক ২২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন করতে পারেন না। জরিপে ৬৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ চান গণমাধ্যম স্বাধীন হোক, ৫৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ চান এটি নিরপেক্ষ হোক, ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ চান এটি সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত থাকুক এবং ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত গণমাধ্যম চান।

ছয়.
দেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম এক যুগ অতিক্রম করলো।অনলাইন নিউজ পোর্টাল এক যুগ অর্থাৎ ১২ বছর অতিক্রম করা মানে যুদ্ধ জয় করা।এটি একটি মাইলফলক।  

রাইজিংবিডির যাত্রা শুরু ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল। ‘পজিটিভ বাংলাদেশ’ বিষয়টিকে ধারণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পাঠকদের কাছে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার প্রতিপাদ্য নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমটি। সহজ ভাষার গণমাধ্যমের বৈশিষ্ট্য এমন হতে হবে যেখানে পাঠকদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়-এই মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে কাজ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাইজিংবিডি পরিবারের একঝাঁক সংবাদকর্মী। অনলাইন গণমাধ্যমের পরিবারে যে কয়টি গণমাধ্যম বাংলাদেশে পাঠকদের কাছে শক্তিশালী জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে রাইজিংবিডি ডটকম অন্যতম। ‘প্রতি মুহূর্তের খবর’ এই স্লোগান ধারণ করে নিউজ পোর্টালটি শুধু সংবাদ পরিবেশন করেই দায়িত্ব শেষ করে না, পজিটিভ জার্নালিজমের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে নানা ধরনের ভূমিকা রেখে চলেছে। রাইজিংবিডি বর্তমানে অগ্রসর পাঠকের পোর্টাল এবং নির্ভরযোগ্য সংবাদের উৎস- এটা পাঠকদেরই ভাষ্য।

সাত.
ইতিবাচক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অঙ্গনে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে রাইজিংবিডি। রাইজিংবিডিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রকাশিত হচ্ছে নানা প্রতিবেদন, ফিচার, বিশ্লেষণ। ক্যাটাগরিগুলো দেখলেই তা বোঝা যায়। জাতীয়, পজিটিভ বাংলাদেশ, নারী ও শিশু, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, ব্যাংক-বীমা, শেয়ারবাজার, করপোরেট কর্নার, কৃষি, রাজনীতি, স্পেশাল, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, শিক্ষা, সাহিত্য, বিনোদন, খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ, মতামত, সাক্ষাৎকার, মিডিয়া, আইন ও অপরাধ, প্রবাস, ছবিঘর, সাতসতেরো, অন্য দুনিয়া ও দেহঘড়ি, মটো কর্নার। এছাড়া মতামত প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া বিশেষ দিবসে রাইজিংবিডির কর্মীরা পয়লা বৈশাখ, বসন্তবরণ উৎসবসহ নানা অনুষ্ঠানও করছেন।

আট.
বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনেও বিশেষ প্রভাব ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে রাইজিংবিডি। প্রকাশ হচ্ছে বিশেষ দিনে বিশেষ সংখ্যা।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা, বৈশাখ সংখ্যা, ঈদসংখ্যা নিয়মিত মুদ্রিত সংখ্যা হিসেবে বের হচ্ছে। এখানে দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

নয়.
রাইজিংবিডিতে প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, ভিডিও- সবকিছুতে পজিটিভ বাংলাদেশের বার্তা থাকে।এ কারণে রাইজিংবিডি কারও পক্ষে নয়, দেশের পক্ষে বলে। বর্তমানে সংবাদপত্রের কাজের ধারা পাল্টেছে। পাঠক খুব দ্রুত সঠিক সংবাদ এবং এর আদ্যোপান্ত জানতে চায়।এখন মোবাইল সাংবাদিকতার যুগ।সংবাদের পাশাপাশি মানুষ ভিডিও দেখতে চায়। এসব দিকে রাইজিংবিডি অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছে।

দশ.
প্রতিষ্ঠার ১৩তম বছরে পা রেখে রাইজিংবিডি সব খবর সবার আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।এজন্য যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সংবাদ পরিবেশনায় প্রতিষ্ঠানটির একঝাঁক তরুণ, মেধাবী এবং প্রতিশ্রুতিশীল সংবাদকর্মী রাতদিন একনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এবং সামনে যেকোনো পরিস্থিতিতে রাইজিংবিডি প্রধান ভূমিকা রাখবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজকের এইদিনে আমাদের শপথ-‘মাথা উঁচু বাংলাদেশের সাথে আমরা।’

লেখক: সহকারী বার্তা সম্পাদক, রাইজিংবিডি

ঢাকা/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ