Samakal:
2025-02-20@20:12:14 GMT

বসন্তে চুলের যত্ন

Published: 18th, February 2025 GMT

বসন্তে চুলের যত্ন

শীতের রুক্ষতা শেষে প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে। চুল পড়া, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা বেড়ে যায় শীতে। বসন্ত খানিকটা স্বস্তির শ্বাস ফেলার সময়। তাই বলে একেবারে চুলের যত্ন নেওয়া বন্ধ করলে হবে না। কেননা, এ সময় ভ্যাপসা গরমে চুলের বারোটা বাজে। তাছাড়া বাইরের দূষণ ও ধুলাবালি তো আছেই। প্রাণবন্ত ও সুন্দর চুলের জন্য যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর পাশাপাশি চুলের ধরন বুঝে তেল মালিশ, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।  
শোভন মেকওভারের কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা জানান, এ সময় নরমাল চুলের যত্নে ডিপ ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। চুলে যেন রুক্ষভাব না আসে, এ জন্য কন্ডিশনার ময়েশ্চারাইজড হতে হবে। কন্ডিশনার ধোয়ার পর সিরাম দিয়ে চুল শুকিয়ে নিতে হবে। 
তিনি জানান, রঙিন চুলের যত্নে কালার প্রোটেক্টেড শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে কালার প্রোটেক্টেড কন্ডিশনার। হিট প্রোটেক্টেড সিরাম দিয়ে চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। এ আবহাওয়ায় বেশি দেরি না করে এক দিন পরপর চুলে শ্যাম্পু করলে চুল ভালো থাকবে। যারা বাইরে কাজ করেন, ধুলাবালির মধ্যে দিয়ে যাওয়া-আসা করেন তাদের চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত। বাড়িতে সময় না পেলে এ সেবাগুলো পার্লার থেকেও নিতে পারেন। 
নির্জীব ও রুক্ষ চুলের যত্ন
শীত চলে গেলেও এ সময় চুলের সমস্যা রয়ে যায়। যত্নের অভাবে কারও কারও চুল অনেক রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। আগা ফেটে যায়। গরম পড়তেই স্ক্যাল্প ঘামতে শুরু করে এবং চুলের গোড়া স্যাঁতসেঁতে ও ময়লা হয়ে যায়। এ জন্য নিয়ম মেনে চুলে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল ধুতে ভারী কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুলের স্বাভাবিক ময়েশ্চার নষ্ট হবে। খুশকি থাকলে শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে মাথার ত্বকে কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। রূপবিশেষজ্ঞের ভাষ্যমতে, খুশকি তাড়াতে মেথি ও লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আবার চুলকে রুক্ষ করে তোলে। তাই চুল ধোয়ার পর ভালো মানের কন্ডিশনার লাগালে উপকার পাবেন। 
নির্জীব চুলের যত্নে দুটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এটি পুরো চুলে লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করুন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরে আধা ঘণ্টা রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নিন।   
কোন ধরনের হেয়ার প্যাক?
হেয়ার প্যাকের ঘরোয়া কনসেপ্টগুলো বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে মনে করেন শোভন সাহা। তিনি মনে করেন, চুলের যত্নে বাজারে যেসব হেয়ার মাস্ক ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করাই ভালো। কারণ হারবাল পণ্যগুলো বাস্তবে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। তারপরও কেউ যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু প্যাক তৈরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে রঙিন চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। মধু চুলের কালারকে আরও উজ্জ্বল করবে। যাদের চুল স্বাভাবিক তারা চুলকে আরও সফট করার জন্য টকদই ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় এমন ধরনের হেয়ার মাস্ক বা প্যাক ব্যবহার করা, যেখানে চুলের জন্য উপকারী সব ধরনের প্রোটিন আছে।  
ডায়েটেও নজর রাখুন 
চুল ভালো রাখতে ডায়েটেও নজর রাখতে হবে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, বায়োটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি রাখতে হবে। এ জন্য তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা; সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি খেতে হবে। এসব মাছ চুলকে ঘন ও কালো করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে হবে। কেননা, ডিমে উৎকৃষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন আছে। এ ছাড়াও আছে সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-১২। তিসি, তিসির তেল, কুমড়ার বীজ, চিয়া বীজ, সয়াবিন ইত্যাদি খেতে হবে। ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে আখরোট, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম খেতে হবে। কেননা, বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাট থাকে। বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন ব্রকলি, ফুলকপি এবং রঙিন শাকসবজি যেমন পালংশাক, টমেটো, গাজর ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। সুন্দর চুলের জন্য প্রোটিন ও আয়রন দরকার। তাই স্বল্পমূল্যে প্রোটিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণে ডাল খেতে পারেন। ডালে জিংক ও ফোলেটও রয়েছে। এ ছাড়া ছোলা, টক দই, টক ফল যেমন বরই, আমলকী, লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। v

মডেল: জান্নাত আরা
ছবি: কাব্য

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করত চ ল র জন য চ ল র যত ন ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হতে যাওয়া ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ কনসার্টটি হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার  রাতে স্থগিতের বিষয়টি আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন। 

তবে হঠাৎ করেই একদিন আগে কেন আলোচিত এ কনসার্টটি স্থগিত করা হলো সে বিষয়টি দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আয়োজকদের একজন জানিয়েছেন নিরাপত্তা ইস্যুতে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। 

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠ, আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আয়োজকরা জানান, নিরাপত্তার কারণে কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কখন কনসার্টটি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়, ‘এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ উন্মুক্ত কনসার্ট হতে যাচ্ছে। কনসার্ট ভেন্যুতে কয়েক লাখ মানুষ একসঙ্গে নিরাপদে গান শুনতে পারবে। 

‘তাদের সামনে দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে। আমরা দেশীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্টের লাইনআপ সাজিয়েছি; যারা আন্দোলনের সময় নিজেদের ক্যারিয়ারের চিন্তা না করে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’

প্রসঙ্গত, এই কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে গান গাওয়ার কথা ছিল নগর বাউল জেমস। আরও গান শোনানোর কথা ছিল ব্যান্ড চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ