নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাঁদাবাজদের গুলিতে বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। উপজেলার কর্নগোপ আল রাজি মিলের পেছনে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। 

পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

আহত বিল্লাল হোসেন জেলা রূপগঞ্জ থানার কর্নগপ গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি ইট বালুর ব্যবসায়ী। 

আহত ব্যবসায়ীর ছেলে রাব্বি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় চাঁদাবাজ রিয়াজ গ্রুপের লোকজন আমার বাবার কাছে চাঁদা দাবি করে। বাবা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ওই দুর্বৃত্তরা বাবাকে প্রথমে ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। 

একপর্যায়ে তারা বাবার ডান পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নিয়ে যাই। সেখান থেকে রাতের দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, গুলিবিদ্ধ বিল্লাল হোসেনকে আনা হলে জরুরি বিভাগের তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের ক্যানসার হাসপাতাল

চীনের কুনমিংয়ের তিনটি সর্বাধুনিক হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এবার বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য জন্য যুক্ত করা হচ্ছে কুনমিংয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে।

বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও চীন সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।

তাদের বৈঠকে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত চীনা বিনিয়োগকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অনন্যভাবে অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ঢাকায় আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।

চীনা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন ও প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।

উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে বহুপক্ষীয়তার সুবিধা সবার দ্বারা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা ও পর্যটন চালু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ