গাইবান্ধায় হিমাগারে আলু রাখার বুকিং স্লিপ না পেয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুই দফায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তিন দিনেই কীভাবে কার্ড শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি রহস্যজনক। এটি তারা মানতে পারছেন না। তাদের ভাষ্য, অবিলম্বে বুকিং স্লিপ বিতরণ শুরু করতে হবে।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘স্টোরে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী বুকিং 
কার্ড করা হয়েছে। সব কার্ড বিক্রি হয়েছে। কৃষকেরা মনে করেছেন জায়গা থাকার পরও আমরা স্লিপ দিচ্ছি না। তাদের ধারণা ভুল। স্টোর ফাঁকা রেখে আমাদের লাভ কী?’
জানা গেছে, ভাড়া বাড়িয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বুকিং স্লিপ বিক্রি শুরু করেছে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ। বুকিং স্লিপের জন্য যথারীতি মঙ্গলবার সকাল থেকে কৃষকরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টার দিকে কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক জানিয়ে দেন, বুকিং স্লিপ শেষ হয়ে গেছে। এই কথা শোনার পর কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। তারা কোল্ডস্টোরেজের 
সামনে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে আবার তারা মহাসড়কের একই স্থানে দাঁড়িয়ে অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা অবরোধ চলার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে কৃষকরা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, কৃষকপ্রতি কমপক্ষে পাঁচ বস্তা করে আলু যাতে হিমাগারে রাখতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ উপজ ল ক ষকর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিশ্চিত ও অবিলম্বে কলেজ হাসপাতাল চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ করেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে মেডিকেল কলেজের সামনে সুনামগঞ্জ–সিলেট সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। একই দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

আজ সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজ থেকে বের হয়ে সুনামগঞ্জ–সিলেট সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই দিকে যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ইউএনও সুকান্ত সাহা বলেন, তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস করতে হয়। কলেজের নিজস্ব হাসপাতাল চালু না থাকায় এই ক্লাসগুলো জেলা সদর হাসপাতালে সপ্তাহে দুই দিন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কলেজ থেকে হাসপাতালটির দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য কলেজের কোনো বাস নেই। ফলে নিয়মিত ক্লাসে যেতে সমস্যা হয়।

কর্মসূচি থেকে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিশ্চিত করা, ওয়ার্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ, সার্জারি, মেডিসিনসহ সব ক্লিনিক্যাল বিষয়ের যথাযথ ওয়ার্ডের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পরিবহনব্যবস্থার ঘাটতি দূর করা এবং ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতাল চালুর দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুনহাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন১৯ ঘণ্টা আগে

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা চাচ্ছেন, সপ্তাহে ছয় দিন ব্যবহারিক ক্লাস করতে। এক সপ্তাহের মধ্যে এটির ব্যবস্থা করা হবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে চালু হওয়ার কথা ছিল। এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বেড়েছে। ভবন বুঝে নেওয়াসহ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটা করতে হবে। হাসপাতাল চালু হলে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাসের অসুবিধা কেটে যাবে।

২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর এটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়। মদনপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ–সিলেট সড়কের পাশে অবস্থিত এই মেডিকেল কলেজ শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। বর্তমানে এখানে পাঁচটি ব্যাচে ২৮০ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইটনায় এবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক নিয়োগে ‘ঘুষ চাওয়ার ফোনালাপ’ ফাঁস
  • অসদুপায় অবলম্বনে সহায়তায় কেন্দ্রের ২১ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, দুই লাখ টাকা জরিমানা
  • নাটোরে জালে আটকা বিপন্নপ্রায় গন্ধগোকুল
  • মালয়েশিয়ায় যাত্রার স্বপ্ন ভঙ্গ, মিয়ানমারের জেলে
  • সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ
  • ‌‘জুলাই ২৪’ শহীদ সাদের নামে ধামরাইয়ে রাস্তার কাজ উদ্বোধন
  • যাদুকাটা নদে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বাঁশের বেড়া
  • কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই, ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
  • হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ