খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়কের দুই পাশের ১২ শতাধিক নারকেল গাছ হুমকির মুখে পড়েছে। সড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে খাল কাটায় গোড়ার মাটি ক্ষয়ে গিয়ে গাছগুলো হেলে পড়ছে। অনেক গাছ মরেও গেছে। 
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে সরকারি অর্থায়নে উপজেলার থুকড়া-রংপুর ইউনিয়নের গফফার সড়কের দুই পাশ ঘেঁষে ৫ কিলোমিটারজুড়ে ১২ শতাধিক নারকেল গাছের চারা রোপণ করে এলজিইডি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ সময় নারকেল গাছ পাহারার জন্য পাঁচজন নারী শ্রমিকের মজুরিসহ প্রকল্পটির বছরে ব্যয় ধরা হয় আড়াই লাখ টাকা। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১১ সাল থেকে নারকেল গাছগুলো পাহারায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে এ সময় 
থেকেই গাছগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট ৮ বছরে এ প্রকল্পের জন্য সরকারের ব্যয় দেখানো হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
স্থানীয় গ্রামবাসীর ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট বিভাগের অপরিকল্পনা, অনীহা ও স্থানীয় কিছু অবিবেচক মানুষের কারণে অনেক নারকেল গাছ নষ্ট হয়ে গেছে এবং বাকিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ গাছগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের সাজিয়ারা গ্রামের অনিতা বিশ্বাস ও প্রমীলা রায় বলেন, ৫ কিলোমিটারজুড়ে নারকেল গাছগুলোয় প্রায় ৯ বছর আগে ফল ধরতে শুরু করে। আশপাশের গ্রামের মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ডাব ও গাছের পাতা কেটে নারকেল গাছগুলো উজাড় করছে।  
ডুমুরিয়া এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রকল্পের কোনো সুফলভোগী নেই। সরকারের পক্ষ থেকে নারকেল গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় সুফলভোগীদের নিয়ে দল গঠনের বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু সাঈদ সরদার রতন কুমার কুণ্ডু বলেন, কিছু লোক অপরিকল্পিতভাবে সড়কের দু’পাশ ঘেঁষে খাল কেটে মাছ চাষ করছেন। ফলে সড়কের পাশের মাটি ধসে যাচ্ছে। এ কারণে শিকড় ও গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে গাছগুলো হেলে পড়ছে। ইতোমধ্যে অনেক গাছ মারা গেছে। মাটি ধসে যাওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। 
ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের আরাজী ডুমুরিয়া গ্রামের প্রাথমিকের শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, গফফার সড়কে অর্ধশতাধিক নারকেল গাছ খালের ভেতর ঝুঁকে পড়েছে। পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য গাছগুলো রক্ষা করা জরুরি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনছাদ ইবনে-আমিন বলেন, নারকেল ও তার গাছ বহুমুখী কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। থুকড়া-রংপুর গফফার সড়কে নারকেল গাছগুলো সত্যি দৃষ্টিনন্দন। গাছগুলো সবার উপকারে লাগে। তাই এগুলো রক্ষার দায়িত্বও সমাজের সব মানুষের। 
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায়ে নারকেল গাছগুলো রক্ষায় পাহারার ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটিতে স্থানীয় গ্রামবাসীকে সম্পৃক্ত করে ইজারার আওতায় আনা হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প সরক র র র জন য সড়ক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা

'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।

‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ