ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনে উদ্যোগ
Published: 18th, February 2025 GMT
প্রথমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও টিকটক যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় ‘ডিজিটাল সেফটি সামিট’ বাংলাদেশ পর্বের উদ্যোগ নেয়। দায়িত্বশীল ও নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করাই যার মুখ্য উদ্দেশ্য। অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সম্মেলনে অংশ নেন।
বাংলাদেশে তরুণদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এ সম্মেলন সহায়ক হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। ডিজিটাল সাক্ষরতা, অনলাইন নিরাপত্তা, ভুল তথ্য মোকাবিলা ও সঠিক ডিজিটাল পরিচর্যা নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন্সের প্রধান ফেরদৌস আল মুত্তাকিন ডিজিটাল সুরক্ষার গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলেন, আমরা গ্রাহকের নিরাপত্তার প্রশ্নে অগ্রাধিকার দিই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিশেষজ্ঞ ও নিজস্ব কমিউনিটির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল গ্রাহকের জন্য এমন নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব, যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর স্বাধীন ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.
সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞ ও ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সারদের অনলাইন নিরাপত্তা, দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরি ও সাইবার হুমকি সামলে নেওয়ার কৌশল সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন বক্তারা। সম্মেলনে প্ল্যাটফর্মের সবশেষ নিরাপত্তা বা সেফটি ফিচার, শিক্ষামূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিটিআরসির সঙ্গে কার্যক্রমের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুদমুক্ত ঋণ পাচ্ছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে যেসব ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা ‘ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট’ থেকে এ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আর্থিকভাবে অসচ্ছল ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকেও এ ট্রাস্ট থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারাদেশে ৬০০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। একই অর্থবছরে ৪ হাজার ৬২০ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২৯৫ জনকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা নির্বাচিতদের মাঝে বিতরণের কাজ চলছে। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এই দুই খাতে মোট ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে, আকস্মিকভাবেই মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং তাদের পরিবারের কল্যাণ সাধনের জন্য ২০০১ সালে এই ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়।