ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ পর্বের ১২তম আসরের জন্য দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস প্রদর্শনী করেছে উদ্যোক্তা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। জানা গেছে, প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সার্বিক উন্নয়নে অংশ নেওয়া।
ইতোমধ্যে রুয়েট, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এইউএসটি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদর্শনীতে হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের লক্ষ্য, পরিকল্পনা, প্রস্তুতির পরামর্শ ও শিক্ষার্থীদের সুযোগের বিষয়ে জানানো হয়। দেশের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রচারণা করা হবে।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত পথ প্রদর্শনী হবে। আগামী এপ্রিলে প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। তখন থেকেই আগ্রহীদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। চূড়ান্ত বিজয়ীরা চীনে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। উদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা। 
বাংলাদেশে ২০১৪ সালে শুরু হওয়ার পর আইসিটি খাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীর কাছে উদ্যোগটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। 
প্রতিবছর বহির্বিশ্বের কয়েকটি দেশের বিজয়ীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদ রাতে শ্রীমঙ্গল রণক্ষেত্র, সাবেক মেয়রসহ আটক ১৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে শ্রীমঙ্গল আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে। চাঁদ রাতের এ ঘটনায় ঈদের জমজমাট বাজার মুহূর্তে সব তছনছ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর রাত ৩টা পর্যন্ত। এ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথবাহিনী শহরে টহল দিচ্ছে।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকার গদারবাজার এলাকার খাস ভূমিতে জেলা বিএনপি নেতা, সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু বিনা লাভের দোকানের নামে ও কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দখলদারিত্ব কায়েমের চেষ্টা করছিলেন। অন্যদিকে একই স্থানে ইজিবাইক চালকরা সেখানে তাদের স্ট্যান্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করাতেন। চাঁদ রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজন চালক বিনা লাভের দোকানের পাশে একটি ইজিবাইক রাখেন। এ সময় দোকানের সেলসম্যান বাধা দেন। তখন দুইজনের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের আনহার মেম্বার বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সাবেক মেয়রসহ ৪০-৫০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ উপস্থিত হলে উপস্থিত সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে ইজিবাইক শ্রমিকদের পক্ষে পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকা থেকে কয়েকশ লোক যোগ দিলে উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ফলে শ্রীমঙ্গল শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা রাত তিনটা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। পরে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ৫৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিকে মৌলভীবাজার জেলার পাইকারি ও সস্তা দরে কেনা-বেচার জন্য শ্রীমঙ্গলের বিপণী বিতান ও মার্কেটের উপচে পড়া ভিড় মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায়। 

পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সাবেক মেয়রের বাসা ও কয়েকটি বাসা-বাড়িতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

ওসি (তদন্ত) মোবারক হোসেন জানান, আহতদের অনেকে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আটককৃতদের মাঝে সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু, তার ছেলে মুরাদ হোসেন সুমন, আলকাছ কাউন্সিলর ও মেয়রের চাচাত ভাই সেলিম মিয়া নাম জানা গেছে। 

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আমিনুল ইসলাম সরকার ১৪ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। 

তিনি আরও জানান, রোববার দিবাগত রাতের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৫৬ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ