জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের নামানুসারে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয় ২৪ হল এবং শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে শহীদ ফেলানী হল উদ্বোধন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাঙ্গণে এগুলোর উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড.

শওকাত আলী, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের বাবা নূর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ  প্রামাণিক, প্রক্টর ফেরদৌস রহমান প্রমুখ।
বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ বইমেলা চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় রয়েছে ৪০টি স্টল। মেলায় আলোচনা সভা, লেখক-পাঠক আড্ডা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে। মেলার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে দৈনিক আমার দেশ ও এখন টেলিভিশন। 
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, শহীদ আবু সাঈদের আত্মাহুতির মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এই বইমেলা সাংস্কৃতিক অভিযাত্রার সূচনা করবে। প্রতিবছর এই বইমেলার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি গোটা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
নতুন নামে হল উদ্বোধন বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ হলগুলো উদ্বোধন করছি। তিনি কিশোরী ফেলানীর আত্মার শান্তি কামনা করেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।

আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।

এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।

তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।

মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ