২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। মঙ্গলবার পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, অর্থাৎ ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার; জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ডিএস পুলে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ১৯৭৯ সালের এসএসপি পুনর্বহাল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি চালু এবং সব ক্যাডারের সমতা নিশ্চিত করতে সুপারিশ করেছে ২৫টি ক্যাডার। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের মাধ্যমে গঠিত পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এসব দাবির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে দেশবাসীকে বিস্তারিত জানানো হবে এবং সংশ্লিষ্টদের লিখিতভাবে অবহিত করাসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। বৈষম্যহীন, জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশের সব দপ্তরে অর্ধদিবস কর্মবিরতি। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থান করবেন। ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের দাবি পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ১ মার্চ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও পক্ষপাতদুষ্ট এই আদেশ প্রত্যাহার না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য জরুরি সেবা দেওয়া কার্যক্রম এ কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হতে যাওয়া ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ কনসার্টটি হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার  রাতে স্থগিতের বিষয়টি আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন। 

তবে হঠাৎ করেই একদিন আগে কেন আলোচিত এ কনসার্টটি স্থগিত করা হলো সে বিষয়টি দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আয়োজকদের একজন জানিয়েছেন নিরাপত্তা ইস্যুতে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। 

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠ, আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আয়োজকরা জানান, নিরাপত্তার কারণে কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কখন কনসার্টটি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়, ‘এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ উন্মুক্ত কনসার্ট হতে যাচ্ছে। কনসার্ট ভেন্যুতে কয়েক লাখ মানুষ একসঙ্গে নিরাপদে গান শুনতে পারবে। 

‘তাদের সামনে দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে। আমরা দেশীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্টের লাইনআপ সাজিয়েছি; যারা আন্দোলনের সময় নিজেদের ক্যারিয়ারের চিন্তা না করে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’

প্রসঙ্গত, এই কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে গান গাওয়ার কথা ছিল নগর বাউল জেমস। আরও গান শোনানোর কথা ছিল ব্যান্ড চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ