কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
Published: 18th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং থেকে বলা হয়, দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে কুয়েট এলাকার রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে বিক্ষোভ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের২ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় রাতে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। সেখানে বলা হয়, ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি নেতা–কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে—
১.
২. মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং তাঁদের প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরাই প্রদান করবে।
কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতেওউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার, প্রতি আসনে ৯৭ জন
ফাইল ছবি