Prothomalo:
2025-03-29@11:50:12 GMT

তুলনা পছন্দ নয় রেজিনার

Published: 18th, February 2025 GMT

দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জগতে বেশ পরিচিত নাম রেজিনা ক্যাসেন্দ্রা। বলিউডেও ক্রমে পরিচিতি পাচ্ছেন এই নায়িকা। হিন্দিতেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে বলিউড আর দক্ষিণি ছবিকে ঘিরে যে তুলনা টানা হয়, এই নায়িকার তাতে প্রবল আপত্তি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘বিদামুয়ার্চি’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে রেজিনাকে দেখা গেছে। এমন একটি ছবির অংশ হতে পেরে উৎফুল্ল রেজিনা। তার ওপর এই ছবির মূল নায়ক অজিতের মতো সুপারস্টার। আর কী লাগে! ভারতীয় গণমাধ্যম অমর উজালাকে এক সাক্ষাৎকারে রেজিনা বলেন, ‘এ ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটি বেশ মনে ধরেছে। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, হাসিখুশি, বিন্দাস এক মেয়ের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। চরিত্রটি আমার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে।’

অজিতের মতো তারকার সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে রেজিনার ভাষ্য, ‘মানুষ হিসেবে উনি দারুণ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আমার একদমই অসুবিধা হয়নি। আসলে উনি আমাদের সবাইকে আপন করে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। সেটে দেখে কখনো মনে হতো না যে উনি এত বড় সুপারস্টার। এমনকি এই ছবির শুটিং চলাকালে উনি আমাদের সবার জন্য রান্না করেছিলেন।’

রেজিনা ক্যাসেন্দ্রা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি

কিশোরগঞ্জে মাত্র ১০ টাকায় বাজারে মিলছে এক লিটার সোয়াবিন তেল, এক কেজি পোলাও চাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি পিঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক হালি ডিম কিংবা ভালো মানের সেমাই। 

ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যতিক্রমী এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

উপজেলা সদরের আনন্দ বাজারে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো নানা সামগ্রী। এসব কেনার জন্য বিকেল থেকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। হাতের টোকেন দেখিয়ে আনন্দ বাজার থেকে ১০ টাকায় প্রতিটি পণ্য কিনে নিচ্ছে ক্রেতারা। ৭০ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। 

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়

সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দরিদ্র মানুষের জন্য নামমাত্র দামে এমন বাজারের আয়োজন করে ‘করিমগঞ্জ মানবিক সংগঠন’। তারা প্রতিটি আইটেম ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কিনতে পারছেন পোলাও চাল, চিনি, সেমাই, তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ ৭টি পণ্য। যা বাজার থেকে কিনতে গুনতে হতো অন্তত ৬০০ টাকা। আর হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

ঈদ বাজারে আসা ষাটোর্ধ্ব রমজান মিয়া জানান, এমন ব্যতিক্রম উদ‌্যোগে ঈদবাজার তারা আর কখনো দেখেননি। ঈদের আগে ৬০০ টাকার পণ্য নামমাত্র মূল্যে কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।

১০ টাকার ঈদবাজারের আয়োজক ইয়াসিন আরাফাত জানান, পকেটের খরচ বাঁচিয়ে এবং বন্ধু-বান্ধবসহ স্বচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে গত ৭ বছর ধরে ঈদের সময় এমন মানবিক বাজার বসাচ্ছেন তারা। এলাকার দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করে আগে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে টোকেন তুলে দেন সংগঠনের কর্মীরা। ওই টোকেন নিয়ে মানবিক বাজার থেকে নামমাত্র দামে ঈদসামগ্রী কেনার সুযোগ পান দরিদ্র মানুষ।

এবার ১০ টাকায় ঈদবাজার কেনার সুযোগ পান ৪০০ মানুষ। আগামী ঈদে এক হাজার মানুষ এমন সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।

ঢাকা/রুমন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ