চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত তাদের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলবে, তা সবার জানা।

টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের শহরটিতে পা রেখেছে ভারতীয় দল। আগামী বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের অভিযান।

বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে গত রবি ও সোমবার আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে ভারতীয় দল। যেহেতু নাজমুল–তাসকিন–মুশফিকদের বিপক্ষে ম্যাচটা দিবা–রাত্রির, তাই গতকালের অনুশীলন সেশন হয়েছে ফ্লাডলাইটের আলোয়।

সেই অনুশীলনে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বেশ ভুগিয়েছেন অখ্যাত এক ফাস্ট বোলার। নাম তাঁর আওয়াইস খান। স্থানীয় এই বোলার নেটে রোহিতকে এতটাই ঝামেলায় ফেলেছেন যে রোহিত তাঁর গুণমুগ্ধ হয়ে গেছেন। কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারতকে তৃতীয়বারের মতো নেতৃত্ব দিতে যাওয়া রোহিত এটাও মজা করে বলেছেন, আওয়াইস তাঁর পা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন।

অনুশীলন শেষে আওয়াইসের সঙ্গে দেখা করে রোহিত বলেছেন, ‘দারুণ বোলার। তুমি তো ইনসুইংগিং ইয়র্কার দিয়ে আমার জুতা.

..পা ভাঙার চেষ্টা করেছ। এটা অনেক বড় ব্যাপার। তোমরা আমাদের প্রস্তুতি নিতে অনেক সাহায্য করেছ। খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।’

এ সময় আওয়াইস বলেন, ‘আপনার বিপক্ষে বল করে আমিও মজা পেয়েছি।’

বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ইনসুইংগিং ইয়র্কারে রোহিতকে অতীতেও বেগ পেতে হয়েছে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের এ ধরনের ডেলিভারিতে এলবিডব্লু হন রোহিত। ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শাহিন আফ্রিদির একই ধরনের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন।

দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন রোহিত শর্মা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা

'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।

‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ