মৃত মা কাছিমের পিঠে দাঁড়িয়ে ছবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা
Published: 18th, February 2025 GMT
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। বালুচরে পড়ে আছে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা সামুদ্রিক একটি মা কাছিম। কাছিমের পিঠে দাঁড়িয়ে আছেন একজন তরুণ। আশপাশে বহু পর্যটক। এমন একটি ছবি আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। ছবির পরিপার্শ্ব দেখে বোঝা যায় এটি কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত। তবে এটি কখন তোলা হয়েছে, তা উল্লেখ নেই।
আজ সকালে এই ছবি দেখে একসঙ্গে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্ট করেন। সেখানে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন। আবদুল মান্নান নামের একজন লিখেছেন, ‘কখন মানুষ হব?’ রেজাউল করিম নামের একজনের মন্তব্য, ‘এর চেয়ে বাজে ছবি আর হয় না। বিবেকহীন।’
ছড়িয়ে পড়া ছবিটি দেখে কক্সবাজারের একাধিক পরিবেশবিজ্ঞানী এটি ‘অলিভ রিডলে’ প্রজাতির কাছিম বলে নিশ্চিত করেছেন। গভীর সাগরের হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই প্রজাতির মা কাছিম কক্সবাজার সৈকতে ছুটে আসে ডিম পাড়তে। প্রতিটি অলিভ রিডলে কাছিম ৬০-১২০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। সমুদ্র পরিবেশ রক্ষার ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত নিরীহ প্রজাতির এই কাছিমের পিঠে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকার ছবি মানতে পারছেন না তাঁরা।
ছবিটিতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণের উল্লেখ না থাকলেও পরিবেশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখন সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ঋতু চলছে। সে কারণে মা কাছিম দলবেঁধে আসছে ডিম পাড়তে। কিছুদিন ধরে নৌযান, জেলেদের জাল, দূষণসহ নানা কারণে মারা পড়ছে মা কাছিম।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক মো.
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে কাছিমের পাড়া ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণের মাধ্যমে বাচ্চা ফোটানোর কাজ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেকম। নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপক ও মেরিন বায়োলজিস্ট আব্দুল কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, কাছিম নিরীহ প্রাণী, জীবিত হোক আর মৃত হোক, তার পিঠে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার মতো বিবেকবিহীন কাজ আর হতে পারে না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবাশ বাংলাদেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকদিয়ে ঢুকলেই নিতুন কুন্ডুর তৈরি ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি চোখে পড়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসব অকুতোভয় শিক্ষক-ছাত্র প্রাণ উৎসর্গ করেন তাদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় এ ভাস্কর্যটি। ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৪০ বর্গফুট জায়গার ওপর ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে। এতে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি রয়েছে। একজন রাইফেল উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন আর তাঁর বাম বাহুটি মুষ্টিবদ্ধ করে জাগানো। অন্যজন রাইফেল হাতে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছেন। তার পরনে প্যান্ট, মাথায় এলোমেলো চুলের প্রাচুর্য, যা কিনা আধুনিক সভ্যতার প্রতীক। এ দু’জন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু একটি দেওয়ালও দাঁড়িয়ে আছে। দেওয়ালের ওপরের দিকে রয়েছে একটি শূন্য বৃত্ত, যা দেখতে সূর্যের মতোই। ভাস্কর্যটির নিচের দিকে ডান ও বাম উভয় পাশে ছয় ফুট বাই পাঁচ ফুট উঁচু দুটি ভিন্ন চিত্র খোদাই করা হয়েছে। ডান দিকের দেওয়ালে রয়েছেন দু’জন যুবক-যুবতী। বাম দিকের দেওয়ালে রয়েছে মায়ের কোলে শিশু, দু’জন যুবতী একজনের হাতে পতাকা। পতাকার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গেঞ্জি পরা এক কিশোর।