রূপগঞ্জে আন্ডারপাসের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
Published: 18th, February 2025 GMT
জয়দেবপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পলখান এলাকায় আন্ডারপাসের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের পলখান এলাকায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্বে দেন নিঝুম পল্লি রিসোর্টের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিকদার, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বেলায়েত হোসেন আকন্দ, দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ প্রমুখ। কর্মসূচিতে স্থানীয় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাইপাস সড়কের পলখান থেকে বেলদী সংযোগ সড়ক দিয়ে স্থানীয় ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত যাতায়াত করেন। এ সড়কে ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মুসুল্লিরা যাতায়াত করে।
কিন্তু জয়দেবপুর-মদনপুর বাইপাস সড়কটি ৮ লেনে উন্নীতকরণের নকশায় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের সংযোগস্থলে রহস্যজনক কারনে কোন আন্ডারপাস রাখেনি। তাই অবিলম্বে নিরাপদ সড়ক পারাপারের জন্যে আন্ডারপাস বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে আওয়ামী দোসর সামাদ ও রনি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় পার্টনার না রাখায় স্বাদ রেস্তোরাঁ নামক একটি রেস্টুরেন্টে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের এসওরোড এলাকার ডিপো টার্মিনালে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সহযোগী সামাদ ও তার ছেলে আহাদ, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ মন্ডলের ছেলে জাহিদের সমন্ধী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রনি ওরফে বাইট্টা রনি ও তাঁদের শেল্টারদাতা যুবদলের নেতা সুপারি কামাল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁর পরিচালকগণ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রেস্তোরাঁর মালিক আলহাজ্ব বাচ্চু মিয়া জানান, সকল নিয়ম মেনে গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে আমি রেস্টুরেন্টটি নুরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেই। পহেলা ডিসেম্বর রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধনের সময় সামাদের নির্দেশে সামাদের ছেলে আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রনি ও সুপারি কামালের নেতৃত্বে একশ থেকে দেড়শো জনের বাহিনী এসে জোরপূর্বক রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি বিনা পুঁজিতে তাঁদের রেস্তোরাঁয় পার্টনার রাখতে হবে। অন্যথায় তারা রেস্টুরেন্ট খুলতে দিবে না। এবিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ অবহিত হলে অভিযুক্তরা ভয়ে তালা খুলে দেন। পরে দুইদিন পর আবার সামাদের ছেলে আহাদ ও রনি ১৫/২০ জন লোক নিয়ে রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয়। এবিষয়ে রেস্তোরাঁর মালিক জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি সামাদ ও তার ছেলে আহাদ গত ০৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে যান। আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেন সচেতন নাগরিক সমাজ নামের কমিটি। এ কমিটির নামে গোদনাইল মেঘনা ডিপো নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সামাদ ও তার ছেলে। চলতি বছরের ১লা মার্চ গোদনাইল মেঘনা ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সামাদ বাহিনী। আর এতে গুরুতর আহত হন যুবদল নেতা আসিফের বাবা মুখলেস সহ ০৪ জন। তাঁদের এসব অপকর্ম নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিকে বিতর্কিত করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এলাকায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন রনি ওরফে বাইট্টা রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল বারিক পিপিএমবার বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।