সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে যুবলীগ নেতা, ক্ষো
Published: 18th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য ঘোষিত নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে পদ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নতুন কমিটিতে বিশেষ সুবিধা নিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু। কমিটিতে যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলমকে ৭নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে।
তার সঙ্গে সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিনের ছবিকৃত ফেস্টুন রয়েছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ঘোষণার পর এসব অভিযোগ উঠলে বঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়। তারা অভিযোগ করেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীল নেতারা টাকার বিনিময়ে পদবাণিজ্য করেছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্বেচ্ছাসেবক দলের পদ দেওয়া হয়েছে।
যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিনের সাথে মিশেমিশে নানা অপকর্ম করে অর্থ বিত্ত গড়ে তুলেছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এমন অভিযোগ করে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিয়েছে অনেকেই। নেতাকর্মীরা এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর দাবি অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
যাদের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বলা হচ্ছে তারা দীর্ঘদিন তাদের সংগঠনের সঙ্গে রয়েছেন। প্রতিপক্ষ ও বঞ্চিতরা পদ-বাণিজ্যের মিথ্যাচার করছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বল গ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন য বল গ ন ত রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর হসপিটাল মোড় থেকে মহানগরী ও জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দলের সহিস্রাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে সভাপতির সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক আমির মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন. বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীণ ভাবে ভারতীয় প্রভুত্ববাদ মেনে না নেওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছিলো। তিনি আরো বলেন ক্যাঙারু বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও কারান্তরীণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত জুলুমবাজ সরকার ফাঁসি দিয়েছে মতিউর রহমান নিজামীকে, ফাঁসি দিয়েছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে, ফাঁসি দিয়েছে কাদের মোল্লা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে। ৬/৭ মাস আগে যারা আন্দোলন করেছিলো, তারা বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলো, তারা ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে জাস্টিস কায়েম করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই সরকার জাস্টিস কায়েম করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার আগে পর্যন্ত বৈষম্য দূর করা যাবে না। বাংলাদেশে ২৪ এর আন্দোলনে যে চেতনা ছিলো, সেই চেতনার আলোকে আজহারুল ইসলামকে মুক্তির দাবি করেন।
তিনি বলেন, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী আপনারা জানেন, নারায়ণগঞ্জে যেই সন্ত্রাস বাহিনী ছিলো তারা পালিয়েছে। আমি আপনাদেরকে ন্যায়ের পথে, সৎ শাসনের পক্ষে থাকার আহবান জানাচ্ছি।
তবে ৫ আগস্টে দেশ ফ্যাসিজম মুক্ত হওয়ার পর অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম কে ১৫ বছরের অধিক সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমরা বলতে চাই অনতিবিলম্বে আমাদের মজলুম নেতা কে মুক্তি দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা আমির মমিনুল হক সরকার বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের জনপ্রিয় নেতা এটিএম আজহার ভাইকে মুক্তি না দিলে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তৃতায় মহানগর আমির মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে এখনো বহাল তবিয়তে, যার কারনে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত, দ্রুত সময়ের মধ্যে দোসরদের উৎখাত করতে হবে, সেই সাথে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত ও দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দিতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মো হাফিজুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, মহানগরী ও জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য ও থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী।