বাবার নামে চুরির অপবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ৬ ঘণ্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে মারধরের পর সকাল ৯টার দিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিকেল ৩টার দিকে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশ।
স্থানীয় সাংবাদিক খন্দকার আরিফ জানান, তিনি গিয়ে ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা দেখেছেন। তার উপস্থিতিতে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িতদের নামও জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী কিশোরী।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর ছোটবোন আশামনি (৯) বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছে। তার দাদি নাতনির চিকিৎসার খরচের জন্য ওই কিশোরীর বাবাকে একটি গরু দেন। ওই কিশোরীর দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের ওই কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনেন এবং চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। বাবাকে দেওয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানে ওই কিশোরীকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়।
গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, অপবাদের প্রতিবাদ করতে আসলে এবং দাদির সঙ্গে দেখা করতে আসলে তার দুঃসম্পর্কের দাদা আব্দুল কাদের কয়েকজনের সহায়তায় সকাল ৯টার দিকে তাকে বেঁধে রাখেন। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন এবং মারধর করে হাঁটুতে গলায় এবং পিঠে জখম করেন।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার থানায় এসেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদশাহ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ক শ র র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।
‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।
বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।