দিনাজপুরের খানসামায় পোল্ট্রি মুরগির খামারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে খামারে থাকা প্রায় তিন হাজার মুরগিসহ স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ১ নম্বর আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বাসুলী বটতলা বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মুরগিসহ সকল স্থাপনা পুড়ে যায়।

বেলাল ইসলাম, রশিদ ইসলাম ও হাচান নামের তিন ব্যক্তি এই খামারের মালিক।

খামারের মালিকরা জানান, আজ সকালে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। নিমিষেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে খামারে থাকা ১৫ দিন বয়সী তিন হাজার মুরগি ও সকল স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

পরবর্তী খবর পেয়ে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্য ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খামার মালিকরা দাবি করেন, এ অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

খানসামা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্র হয়েছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের ক্যানসার হাসপাতাল

চীনের কুনমিংয়ের তিনটি সর্বাধুনিক হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এবার বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য জন্য যুক্ত করা হচ্ছে কুনমিংয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে।

বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও চীন সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।

তাদের বৈঠকে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত চীনা বিনিয়োগকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অনন্যভাবে অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ঢাকায় আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।

চীনা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন ও প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।

উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে বহুপক্ষীয়তার সুবিধা সবার দ্বারা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা ও পর্যটন চালু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ