বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ এলাকায় দুই দিনব্যাপী পদার্থ বিজ্ঞান মেলা শেষ হয়েছে। ব্যতিক্রম এ মেলার শেষ দিনে মঙ্গলবার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি উদ্ভাবন প্রদর্শন করে। মেলায় ২২টি উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়।

এতে জুনিয়র গ্রুপে দাড়িদহ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘নিদিষ্ট দুরত্বে বিদ্যুৎ প্রেরনের জন্য তারের ব্যাস নির্নয়’ উদ্ভাবন করে প্রথম স্থান অর্জন করে। সিনিয়র গ্রুপে দাড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘রেকটিফিকেশন’ উদ্ভাবন করে দ্বিতীয় হয়েছে। আর ‘আবেশক নির্মাণ’ উদ্ভাবন করে তৃতীয় হয়েছে বিশেষ গ্রুপ। 

মঙ্গলবার বিকেলে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

হাসনাত আলী। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাসনিমুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাহবুব মোর্শেদ, দাড়িদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মানিক, দাড়িদহ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার প্রমুখ। 

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পদার্থ বিজ্ঞান মেলার উদ্যোক্তা ফরিদুল ইসলাম।

ফরিদুল ইসলাম জানান, তিনি এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পদার্থ বিজ্ঞান শেখান। তার বাড়িতে একটি পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ল্যাব তৈরি করেছেন। সেখানে হাতে-কলমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদ র থ ব জ ঞ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নবম গ্রেডের দাবিতে ঝিনাইদহে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের স্মারকলিপি

ঝিনাইদহে দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা। সোমবার সকালে শহরের পিটিআই চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। সেখান থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয় র‌্যালিটি।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর ও পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

এসময় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন দাস, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, সুবীর কুমার ঘোষ, হাসান মাহমুদ, মো. খালেকুজ্জামান, শাজাহান রহমান, জেসমিন আরা পারভীন, শাহনাজ পারভীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি শেষে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রেডে কর্মরত থাকায় পেশাগতভাবে অবহেলিত ও হতাশ আমরা। অন্যদিকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান। এতে করে একই বিভাগে দুটি পদ দশম গ্রেড হলে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতার নিরিখে মবম গ্রেডে উন্নীত হওয়া আমাদের ন্যায্য অধিকার। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন একই গ্রেডে চাকরি করছি। গ্রেড উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই নবম গ্রেড আমাদের ন্যায্য দাবি। আমরা চাই প্রধান উপদেষ্টা আমাদের দাবি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ