বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’র মানববন্ধন
Published: 18th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম অংশে তথা নিতাইগঞ্জ, শীতলক্ষ্যা, পাইকপাড়া, ভূঁইয়াপাড়া, ফরাজীকান্দা, জল্লারপাড়, নয়াপাড়া, বাবুরাইল, দেওভোগ, বেপারীপাড়া, নন্দীপাড়া, ভূঁইয়ারবাগ, গলাচিপা, কলেজ রোড, চাষাড়া, মাসদাইর, জামতলা সহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ডিপিডিসি কর্তৃক পোষ্ট পেইড মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পায়তারা করছে, এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী।
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন এর সঞ্চালনায় কিল্লারপুর বিদ্যুৎ অফিসের সম্মুখে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলীর নিকট প্রি-পেইড মিটার বন্ধে দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নেতৃবৃন্দের সহিত প্রধান প্রকৌশলী অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার ফলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ ও নেতৃবৃন্দ তার আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বিভিন্ন এলাকায় এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কারণে গ্রাহকদের নানা রকম জটিলতা ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির কথা তুলে ধরে এই কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবী জানান।
প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মিছিল নিয়ে এসে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে গিয়ে মঞ্চ এবং আশপাশের চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদের ব্যানারে এখানে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এবার অনুষ্ঠানটি ৪৭ বছরে পা রাখতে চলেছে। ভাঙচুরের পর ডিসি হিলে এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদ। প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে পরিষদের অভিযোগ।
ভাঙচুরের আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ২০টি সংগঠনের একটি তালিকা দেওয়া হয় আয়োজকদের। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগ এনে ওই সংগঠনগুলোকে মঞ্চে তুলতে নিষেধ করে দেয় প্রশাসন। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে সম্মিলিত বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন মঞ্চ নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন করে।
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার চিহ্নিত দোসরদের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান উদ্যাপন আয়োজনের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মূলত জাতীয়বাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস), বিএনপির সহযোগী সংগঠন মিলে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে এই সংগঠনগুলোকে নববর্ষের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
যাঁরা এসব অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরাই সন্ধ্যায় ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে আয়োজকদের অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শী সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৪০ জনের মতো একটি দল মিছিল নিয়ে আসে। তারা হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এ সময় ‘হাসিনার দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, হাসিনার ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে মঞ্চে উঠে ভাঙচুর শুরু করে। এই দলের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে থাকা কয়েকজনও ছিলেন। চেয়ার–টেবিল সব ভাঙচুর করে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। শিল্পীদের জন্য তৈরি কক্ষসহ সবকিছু ভাঙচুর করে। ১৫ মিনিট পর তারা চলে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, একটি মিছিল এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর করে চলে গেছে। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জানতে চাইলে পরিষদের সমন্বয়ক সুচরিত দাশ বলেন, ‘আমরা সোমবার আর পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান করব না। যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে অভিযোগ দিয়েছে, তারাই এই ভাঙচুর করেছে। এভাবে আর অনুষ্ঠান করা যায় না। প্রশাসন শুরু থেকে আমাদের অনুমতি দিতে গড়িমসি করেছে। অসহযোগিতা করেছে। এ কারণে আজকের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাসাসের সদস্যসচিব ও নববর্ষ উদ্যাপন মঞ্চের সংগঠক মামুনুর রশিদ (শিপন) বলেন, ‘তারা হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চায়। যারা ডিসি হিলে অনুষ্ঠান করছে, তারা দোসর। আমরা মানববন্ধন করে ডিসিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। ভাঙচুরের বিষয়ে অবগত নই।’
জানতে চাইলে আজ রাত পৌনে ৯টার দিকে নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।