খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাকে লালকার্ড ও আধিপত্যের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। 

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই, জুলাই-আগস্ট ভুলি নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’ নানা স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
 
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ‘ছাত্রদল নির্যাতিত একটা দল, ১৬ বছর ধরে আপনারা নির্যাতিত হয়েছেন বলে এই না, আপনারা নির্যাতন করার অধিকার পেয়েছেন। আজকের হামলার ঘটনা সারাদেশের ছাত্রজনতা লালকার্ড দেখিয়েছে। আমরা চাই আপনারা সুস্থ ধারায় আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করুন। নতুন বাংলাদেশে আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছিলাম। অনেক ছাত্র-জনতা আছে, যারা ৫ আগস্টের পর রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখছেন। এখনো যদি আধিপত্যবাদ, অস্ত্র, সন্ত্রাসী হামলা, রক্তাক্ত রাজনীতি দেখতে হয়, তাহলে এই অভ্যুত্থান করে কী লাভ হল? আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।’

ছাত্রদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হবে।’
 
কুয়েটের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে বলে মন্তব্য করে আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, ‘ছাত্রদল যদি ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, এর ফলাফল ভালো হবে না। এই হামলার দায় স্বীকার না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল একটি ঘৃণ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, আমরা এটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই হামলায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র জন ত ছ ত রদল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ৫৮

ইয়েমেনের রাস ইসা বন্দরে মার্কিন ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২৬ জন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি একটি। খবর আল জাজিরার।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হুথি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস বন্ধ করার জন্যই এই হামলা চালানো হচ্ছে।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথিদের অবস্থানগুলোতে তারা হামলা চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর এই গোষ্ঠীর আক্রমণ বন্ধ হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎস কমানো।

অন্যদিকে গাজায় প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে বৃহস্পতিবার ৩২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকালে চালানো হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটির খান ইউনিসে এক পরিবারের ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজা আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে খারাপ মানবিক ব্যর্থতাগুলোর মধ্যে একটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫১ হাজার ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছে তাদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ