কুয়েটের ঘটনায় রাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ
Published: 18th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাকে লালকার্ড ও আধিপত্যের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই, জুলাই-আগস্ট ভুলি নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’ নানা স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ‘ছাত্রদল নির্যাতিত একটা দল, ১৬ বছর ধরে আপনারা নির্যাতিত হয়েছেন বলে এই না, আপনারা নির্যাতন করার অধিকার পেয়েছেন। আজকের হামলার ঘটনা সারাদেশের ছাত্রজনতা লালকার্ড দেখিয়েছে। আমরা চাই আপনারা সুস্থ ধারায় আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করুন। নতুন বাংলাদেশে আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছিলাম। অনেক ছাত্র-জনতা আছে, যারা ৫ আগস্টের পর রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখছেন। এখনো যদি আধিপত্যবাদ, অস্ত্র, সন্ত্রাসী হামলা, রক্তাক্ত রাজনীতি দেখতে হয়, তাহলে এই অভ্যুত্থান করে কী লাভ হল? আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।’
ছাত্রদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হবে।’
কুয়েটের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে বলে মন্তব্য করে আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, ‘ছাত্রদল যদি ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, এর ফলাফল ভালো হবে না। এই হামলার দায় স্বীকার না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল একটি ঘৃণ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, আমরা এটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এই হামলায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র জন ত ছ ত রদল র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নামতে নামতে আর কত নিচে নামবেন ধোনি
নূর আহমেদ ও খলিল আহমেদের কপালটা খারাপ। এই সুযোগ আর পাবেন নাকি! মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাটিংয়ে আরেকটু পরে নামলেই তো গল্প করার সুযোগ পেতেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বলতে পারতেন—এক ম্যাচে ধোনির আগে ব্যাটিং করেছিলাম। বিশ্বাস না হলে স্কোরকার্ডটাও দেখিয়ে দিতেন। তখন বিশ্বাস না করে উপায় কী!
শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে এই ‘অবিশ্বাস্য কীর্তি’ তাদের গড়তে দেননি ধোনি। নিজেই নেমে যান ৯ নম্বরে। ব্যাটিংটা যে এখনো পারেন, সেটির প্রমাণও রেখেছেন ২০তম ওভারে দুই ছক্কা মেরে। অবশ্য এই রান শুধু তাঁর কাজেই এসেছে। এই ইনিংসের সৌজন্যে আইপিএলে চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ রানের (৪৬৯৯) মালিক হয়েছেন ধোনি। ছাড়িয়ে গেছেন মি. আইপিএলখ্যাত সুরেশ রায়নার ৪৬৮৭ রান।
এই রেকর্ডে চেন্নাই–সমর্থকদের আক্ষেপ আরও বাড়ার কথা। ব্যাট হাতে চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার কেন ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসবেন? কাল ধোনি যখন উইকেটে আসেন তখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ২৮ বলে ৯৮। মানে খেলা তখন শেষ! ধোনি তখন কী করবেন!
কাল ১৬ বলে ৩০ রান করেছেন ধোনি