সৌদি আরবে কাজ করার সময় ভবন থেকে পড়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাগর মাতুব্বর (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফ মাতুব্বরের ছেলে।

নিহতের বাবা আব্দুল লতিফ মাতুব্বর জানান, তিন তলা ভবনের বারান্দায় গ্রিলের কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাগর মাতুব্বর। এ ঘটনায় পরিবার ও গ্রামবাসীর মধ্যে চলছে আহাজারি। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে সাগর মাতুব্বর বড়। 

এর সত্যতা নিশ্চিত করে তুজারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা টিটো মোল্লা বলেন, “সাগর মাতুব্বর গত তিন-চার মাস আগে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে যায়। পরে সে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ভালো বেতনে কাজ করে। আজ সন্ধ্যায় শুনতে পাই ভবনের ওপরে কাজ করতে গিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছেন।”

ঢাকা/তামিম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোগল আমলের নিদাড়িয়া মসজিদে এখনো নামাজ পড়েন মুসল্লিরা, দেখতে আসেন দূরদূরান্তের মানুষ

লালমনিরহাট জেলার প্রাচীন স্থাপত্যের একটি উজ্জ্বল নির্দশন হিসেবে কয়েক শ বছর ধরে গৌরবের সঙ্গে টিকে আছে নিদাড়িয়া মসজিদ। মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদটিতে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। আশপাশের এলাকার পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও সাধারণ মানুষ দেখতে আসেন মসজিদটি।

রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের কিসামত নগরবন্দ মৌজায় নিদাড়িয়া মসজিদের অবস্থান। মসজিদের নির্মাতা সম্পর্কে খোদাই করা তথ্য বোধগম্য না হলেও শিলালিপিতে নির্মাণকাল ১১৭৬ হিজরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত তিন গম্বুজ ও তিন দরজাবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। মসজিদের পশ্চিম দেয়াল থেকে বর্ধিত কোনো মিহরাব নেই। দেয়ালের ভেতরের দিকের সামান্য ফাঁকা অংশ মিহরাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দরজার কাছের দেয়ালের পুরুত্ব ৩ ফুট।

মসজিদটির দেয়াল বরাবর ওপরে চারদিকে ছোট–বড় মিনার রয়েছে ১২টি। সামনে প্রাচীরের প্রবেশপথের দক্ষিণ দিকে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের একটি হুজরাখানা রয়েছে।

১৯৯৭ সালে নিদাড়িয়া মসজিদটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মসজিদ–সংলগ্ন স্থানে বাংলা ও ইংরেজিতে জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্থাপন করা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোনো বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোনো অংশের ওপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোনো চিহ্ন বা দাগ কাটলে ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইনে সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

দূরদূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ নিদাড়িয়া মসজিদটি দেখতে আসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ