আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে বন্দরে প্রস্তুতিমুলক সভা
Published: 18th, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে বন্দরে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলা সভাকক্ষে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি মূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ।
ভাষা সৈনিকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রস্তুতিমুলক সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ২০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ৫২ ভাষা আন্দোলন ও ২০২৪ গন অভুণ্থান ও ২১ চেতনা নিয়ে ও জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও তার তাৎপর্য নিয়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরদিন উপজেলা প্রশাসন ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকালে প্রবাদ ফেরীর আয়োজন করা হবে।
২১শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও জুমা নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত ও সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়ার আয়োজন করার সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।