প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গাইবেন বাংলাদেশের কয়েকজন সংগীতশিল্পী। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ বাংলাদেশি শিল্পীদের এই পরিবেশনা।
১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতিসংঘের সদস্যদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। এ বছর দিবসটির রজতজয়ন্তী।

এ উপলক্ষে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দপ্তর কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে। অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন। এ ছাড়া সদস্যদেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

প্যারিসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে যাত্রা করবেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ‘কথা ক’খ্যাত র‌্যাপার সেজান, শূন্য ব্যান্ডের এমিল ও নারী ব্যান্ড এফ মাইনর, পারশা মাহজাবীন, টুনটুন বাউল, জালাল, মিথুন চক্র ও জাহিদ নীরব।
এই আয়োজনে জুলাই মাতানো সেজানের ‘কথা ক’ গানের সঙ্গে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের একটি গানের মিশ্রণে গাইবেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার। টুনটুন বাউলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে লালনগীতি ‘জাত গেল’ গাইবেন পারশা মাহজাবীন।

শূন্য ব্যান্ডের এমিল শোনাবেন ‘শোনো মহাজন’ গানটি। নাগরী, গারো, চাকমা ও বাংলা ভাষায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গাইবে এফ মাইনর ব্যান্ডের ভোকাল পিংকি চিরান ও পারশা মাহজাবীন। পাশাপাশি ইসলাম উদ্দিনের পরিবেশনায় থাকবে বিখ্যাত পালা ‘পাষাণ মনরে আমার’। পুরো আয়োজনের নির্দেশনা দেবেন নির্মাতা তানিম নূর ও সংগীত পরিচালনায় থাকবেন জাহিদ নীরব। লেখক-গবেষক বদরুদ্দীন উমর ও ভাষাসৈনিক তাহমিনা সালেহ্‌কে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে। তথ্যচিত্রটির নির্দেশনা দিয়েছে তানিম নূর। আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেনাবাহিনী

সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করলে দেশের অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সড়ক অবরোধমুক্ত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকে সেনাবাহিনী। যত কম সময়ের মধ্যে মুক্ত করা যায়– এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ১৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ৩১ বার বিভিন্ন মূল সড়ককে অবরোধ থেকে অবমুক্ত করেছে।  

কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গত দুই মাসে নিয়ন্ত্রণ করেছে ২৩২টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ৩৭টি, সরকারি সংস্থা ও অফিস-সংক্রান্ত ২৪টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৭৬টি এবং অন্য ঘটনা ৯৫টি। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ বিদেশি কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সুষ্ঠুভাবে পালন করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগে সেনাবাহিনী কোনো বাধা পাচ্ছে না। এই ক্ষমতা যেখানে যতটুকু ব্যবহারের দরকার, সেটা করা হচ্ছে। অপরাধী গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর বিচারকার্যে সেনাবাহিনীর কিছু করার থাকে না। 

গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী একতাবদ্ধ হয়ে সরকারের নির্দেশে দেশ-জাতির পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সততা, ন্যায়নীতি, প্রত্যয় ও সহনশীলতার সঙ্গে এটি করা হচ্ছে। 

শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দেখেছেন মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দীর্ঘ মিছিলে কালো পতাকাধারীদের রহিত করেছে সেনাবাহিনী। কালো পতাকাধারী হলেই জঙ্গি, এর প্রমাণ পাইনি। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী সোচ্চার আছে।  

সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশে সেনাবাহিনী প্রধানের সফর একটি ‘রুটিন অ্যাফেয়ার’। সেখানে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন। এতে আমাদের সামরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রগাঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ