‘পেয়ালা’ ক্যাফের আগুন ছিল পরিকল্পিত: ব্যবস্থাপকের জবানবন্দি
Published: 18th, February 2025 GMT
রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ‘পেয়ালা’ নামের ক্যাফেতে অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা সরানোর ঘটনা আড়াল করতে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান রিমন নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর সোমবার রাতে কারওয়ান বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন সমকালকে বলেন, মেহেদী হাসান অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। এ কারণে তিনি পেয়ালার ক্যাশ বাক্স থেকে ৮৫ হাজার টাকা চুরি করেন। পরে বিষয়টি চাপা দিতেই তিনি এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। এর আগেও তিনি নোয়াখালীর মাইজদীতে ‘কাচ্চি ডাইন’ রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় নোয়াখালীর সুধারাম থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ক্যাফেতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। তবে কিছু বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় তদন্ত চালিয়ে যায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেহেদী হাসান নিজেই টিস্যু ও পত্রিকা দিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের নিচে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর টাওয়ারের নিচতলায় ‘পেয়ালা’ ক্যাফেতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা ক্যাশ কাউন্টার, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে যায়। উধাও হয় ক্যাশবাক্সে থাকা ৮৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক মঞ্জুরুল আলম খান বাদী হয়ে সোমবার তেজগাঁও থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে পুলিশের অভিযানে একটি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা সদর পৌরসভার কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকার পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে- কলেজ গেইট মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে স্থানীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি এলজি (বন্দুক) ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে এবং পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।