রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ‘পেয়ালা’ নামের ক্যাফেতে অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা সরানোর ঘটনা আড়াল করতে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান রিমন নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর সোমবার রাতে কারওয়ান বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন সমকালকে বলেন, মেহেদী হাসান অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। এ কারণে তিনি পেয়ালার ক্যাশ বাক্স থেকে ৮৫ হাজার টাকা চুরি করেন। পরে বিষয়টি চাপা দিতেই তিনি এ ঘটনার পরিকল্পনা করেন। এর আগেও তিনি নোয়াখালীর মাইজদীতে ‘কাচ্চি ডাইন’ রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় নোয়াখালীর সুধারাম থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ক্যাফেতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। তবে কিছু বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় তদন্ত চালিয়ে যায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেহেদী হাসান নিজেই টিস্যু ও পত্রিকা দিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের নিচে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর টাওয়ারের নিচতলায় ‘পেয়ালা’ ক্যাফেতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা ক্যাশ কাউন্টার, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে যায়। উধাও হয় ক্যাশবাক্সে থাকা ৮৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক মঞ্জুরুল আলম খান বাদী হয়ে সোমবার তেজগাঁও থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা

'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।

‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ