সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা পেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এত দিন তিনি সচিব পদমর্যাদায় ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর ১৪ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান বার্তা সংস্থা এএফপির তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যুরোপ্রধান শফিকুল আলম। তখন তাঁকে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শফিকুল আলমকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব পদে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদমর য দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাত উপদেষ্টা নিয়ে সন্দ্বীপ যাচ্ছেন উপদেষ্টা ফাওজুল

সাত উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে ফেরিতে চড়ে সন্দ্বীপ যাবেন সন্দ্বীপেরই সন্তান মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত।
নিজ জন্মস্থানের র্দীঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে গত সাত মাসে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন উপদেষ্টা ফাওজুল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যা করতে পারেনি, তার অনেক কিছু গত সাত মাসে করে দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর এসব উদ্যোগের সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে সন্দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সরাসরি ফেরি সার্ভিস। 
ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করতে মন্ত্রী পদমর্যাদার এত মানুষ একসঙ্গে অতীতে সন্দ্বীপ যায়নি। এটি সম্ভব করে ফাওজুল সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন আরও ছয় উপদেষ্টা। তারা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়। তাদের সঙ্গে থাকবেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার দু’জন বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। 
সন্দ্বীপের বাসিন্দা কবির সোহেল বলেন, ফেরি চলাচল কার্যক্রম শুরু করার পথে অনেক বাধা পেয়েছিলেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। কিন্তু সব বাধা জয় করেছেন তিনি। চার লাখ সন্দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ করেছেন তিনি। উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর আগে একাধিকবার সন্দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। দেখেছেন কাজের অগ্রগতিও। এ সময় তিনি বলেন, এ দ্বীপে তাঁর জন্ম। এর প্রতি দায় আছে তাঁর। অন্য এলাকার চেয়ে নানা দিক থেকে পিছিয়ে এ জনপথ। নৌপথে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হয় দ্বীপবাসীকে। তারা সেটি দূর করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত উপদেষ্টা নিয়ে সন্দ্বীপ যাচ্ছেন উপদেষ্টা ফাওজুল