আজহারুলকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: জামায়াত আমির
Published: 18th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা ভদ্র মানুষ। কিন্তু আমাদের ভদ্রতাকে কেউ যাতে দুর্বলতা মনে না করে। ভদ্র মানুষেরা যখন শক্ত হয়, তখন কেমন হতে পারে তা দেশের মানুষ দেখেছেন।’’
‘‘আমরা মনে করি, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে। একে একে মজলুমদের মুক্তি দিয়েছেন, সর্বশেষ মজলুমকেও মুক্তি দিন। এর মধ্যে যারা হারিয়ে গেল তাদের তো ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। আর ১৩ মিনিটও তাকে জেলে রাখা হয়, তা আমরা চাই না’’ বলেন দলটির আমির।
সরকারের সমালোচনা করে ডা.
তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তার প্রধান থাবা পড়েছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর। সে সময় দায়িত্ব নিয়েছেন এ টি এম আজহার। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদের প্রথম সাক্ষী এ টি এম আজহারকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।’’
‘‘আমরা ভাবতেও পারিনি, তার মুক্তিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজ থেকে তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমাবেশের শুরুও নেই শেষও নেই,’’ বলেন জামায়াত আমির।
জামায়াত কখনো আপস করেনি জানিয়ে দলটির আমির বলেন, ‘‘ফাঁসির কাষ্ঠে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের নেতারা কারো সাথে আপস করেননি। তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য নানা মহল থেকে আপস করার কথা বলা হয়েছিল।’’
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নিবন্ধন জালিমরা কেড়ে নিয়েছিল, আপনারাও কি জুলুম করবেন? আর কোনো বৈষম্য আমরা মেনে নেব না।’’
এ সময় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জামায়াতের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।