কুয়েটে প্রথম হামলা নিয়ে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
Published: 18th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধীদের ব্যানারে বের করা মিছিল থেকে প্রথমে আক্রমণ করা হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে কুয়েট এলাকার রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতা–কর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্পাস সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। গতকাল সোমবার তারা ক্যাম্পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ছাত্র হলগুলোর সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিতে দেখা যায়।
কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতেও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র আশপ শ র স ঘর ষ কর ম র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়ালো
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় থেকে নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বান কিংবা সমালোচনাকে কানে তুলছে না ইসরায়েল সরকার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৯ জন আহত হয়েছেন। ১৮ মার্চ ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে সর্বশেষ পরিসংখ্যানে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৬৩০ জন এবং আহতের সংখ্যা চার হাজার ৩০২ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে কমপক্ষে ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিছু সংখ্যক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন, অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।”
ঢাকা/শাহেদ