গফরগাঁওয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানে অবশেষে ইউএনওকে বদলি
Published: 18th, February 2025 GMT
ছবি: সংগৃহীত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষের অপসারণ চান প্রতিষ্ঠাতা
দুর্নীতির অভিযোগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার হুরমত উল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গফরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ জোর করে আমাকে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেন। এর পর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম ভঙ্গ করে কলেজের ১ নম্বর শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ না করে এমপি তাঁর প্রিয়ভাজন জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন। এর পর থেকে তিনি দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম করে আসছেন।’
বিষয়টি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার বাবার নামে ১৯৯৩ সালে নিজের জমি দিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু সাবেক এমপি ফাহমি গোলন্দাজের আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করে চলতেন। কলেজের শিক্ষকরা তাঁর কথামতো না চললে তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের সত্যতা পেলেও সাবেক সংসদ সদস্য গোলন্দাজের হস্তক্ষেপের ফলে প্রশাসন আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। গত ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। তাঁর আশীর্বাদপুষ্ট জিল্লুর রহমান এখনও কলেজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। জেলা-উপজেলা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কলেজের সার্বিক কল্যাণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানকে দ্রুত অপসারণে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমান।
গফরগাঁওয়ের হুরমত উল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান রুবেল বলেন, ‘রেজুলেশনের মাধ্যমে আমার নিয়োগ হয়েছে। আমার সভাপতি ইউএনও। শিক্ষকদের বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়। শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকাও ব্যাংকে জমা হয়। আমি ৩ বছরে ৩৭ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছি, যা গফরগাঁওয়ের কোনো কলেজ দেখাতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘তিনি কীভাবে প্রতিষ্ঠাতা হলেন, এমন তথ্য আমার কাছে জানতে চাইলে তদন্তে দেখা যায়, ১০ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। ওই টাকা জমা না দিয়েই উনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর থেকেই উনি আমার পেছনে লেগেছেন।’