পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ওয়ানডে ম্যাচে সবচেয়ে কম রান করেও জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ওমানের আল আমারাতে মাত্র ১২২ রান করেও ৫৭ রানের জয় পেয়েছে অভিবাসীদের নিয়ে গড়া যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দল।

যুক্তরাষ্ট্র ভেঙেছে ৪০ বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের গড়া রেকর্ড। সেবার শারজাহতে ১২৫ রান করেছিল ভারত। পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ৮৭ রানে। কোন কারণে ওভার কমানো হয়নি এমন ওয়ানডে ম্যাচে যা ছিল রেকর্ড।

ওমানে আইসিসি মেন্স ক্রিকেট ওয়াল্ড কাপ লিগ-২ এর ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ৩৫.

৩ ওভারে ১২২ রান করে। দলটির পক্ষে ছয়ে নেমে মিলিন্ড কুমার সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। অ্যারন জোন্স ও সঞ্জয় কৃষ্ণামূর্তি ১৬ করে রান যোগ করেন।

জবাবে ওমান ২৫.৩ ওভারে অলআউট হয়। তিনে নেমে দলটির হাম্মাদ মির্জা ২৯ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে ঢুকতে পারেননি।

ম্যাচে আরও দুটি রেকর্ড হয়েছে। দুই ইনিংসে দুই দল ৯ বোলার ব্যবহার করেছেন। নয়জনই ছিলেন স্পিনার। ওয়ানডে ইতিহাসে ৪৬৭১ ম্যাচ পর যে ঘটনা এবারই প্রথম ঘটলো।

এছাড়া ম্যাচে দুই দলের ২০ উইকেটের ১৯ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। এক ব্যাটার রান আউট হয়েছেন। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে স্পিনারদের ১৯ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের ৯ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। বাংলাদেশের ১০ উইকেটই নিয়েছিলেন পাকিস্তানের স্পিনাররা।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর র কর ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের রায় দেন। 

রায়ের আগে বিচারক বলেন, ‘উনার (মোসাদ্দেক আলী ফালু) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। উনি তো সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। আর তার অবৈধ সম্পদ যদি থাকে, সেটা তো অবরুদ্ধ করতে হতো। সেটাও তো করা হয়নি। সুতরাং এ মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়া হলো।’

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমদ আলী সালাম খালাসে তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। রায়ের পর তিনি হাসিখুশি মেজাজে নেতাকর্মীদের অভিবাদ গ্রহণ করেন। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। পরে আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান।

২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাও আসামি ছিলেন। মামলাটিতে পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ফালুর আবেদন খাজির করে দেন এবং স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটিতে ফালু পলাতক থাকা অবস্থায় চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করে। নোটিশের প্রেক্ষিতে ফালু ওই বছর ১ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়। 

২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোসাদ্দেক আলী ফালু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ