সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কারাগারে
Published: 18th, February 2025 GMT
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগ আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করা জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন (গালিব) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
জাহাঙ্গীর আলম ২০২৩ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০ আগস্ট জাহাঙ্গীর আলমকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়। ২৮ অক্টোবর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বিসিএস একাদশ ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৯৯৩ সালে চাকরিতে যোগ দেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মহেশখালীতে লবণচাষিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে শফিউল আলম (২৯) নামের এক লবণচাষি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিরপাড়ার পশ্চিমে লবণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিউল আলম কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে।
মহেশখালী থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করলে লবণচাষি শফিউল আলম গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বেলা একটার দিকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় বিকেল চারটা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মনিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকালে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযান চালান। একপর্যায়ে কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসীরা চিকনিপাড়ার পশ্চিমে প্যারাবনের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাঁর ছোট ভাই শফিউল আলমকে তারা গুলি করে।
মনিরুল আলম বলেন, তাঁর নিরপরাধ ভাইকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি এই ঘটনার বিচার চান। জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানান।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনাস্থল থেকে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, কোস্টগার্ডের সদস্যদের ধাওয়া খেয়ে জিয়া বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে যাওয়ার পথে শফিউল আলমকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।