Risingbd:
2025-03-29@11:44:04 GMT

হঠাৎ বৃষ্টি

Published: 18th, February 2025 GMT

হঠাৎ বৃষ্টি

শীতের বিদায়ে প্রকৃতিতে এসেছে নয়া ঋতু। চারদিকে বসন্তের হাওয়া বইছে। এরই মাঝে বসন্তের আকাশে ঝরলো এক পশলা বৃষ্টি। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখা যায়। রাত পোনে ৮টা নাগাদ বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। 

রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, পান্থপথ, শুক্রবাদ, ধানমন্ডির কিছু অংশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, নীলক্ষেতসহ বেশ কিছু এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টি আরো কয়েকদিন থেমে থেমে কোথাও কোথাও হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। বঙ্গোপসাগরে একটি স্বাভাবিক লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যার বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, এদিন এই দুই বিভাগের দুই-এক জায়গা ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া এদিন দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এদিনও সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

একইভাবে আগামী বৃহস্পতিবারও (২০ ফেব্রুয়ারি) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিনও সারা দেশে মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়, ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুক্রবার মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পটি সম্ভবত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। দুর্যোগ মডেলিংয়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এর স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি কম্পনজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য লাল সতর্কতা রয়েছে।

এটি বলেছে, “উচ্চ প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুর্যোগটি সম্ভবত ব্যাপক আকার ধারণ করবে।”

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে অবস্থিত। এখানে ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস করে।

শনিবার সকালে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা  এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং  আহতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।

তবে ইউএসজিএস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ, যা ১০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের মধ্যে হতে পারে।

ইউএসজিএস আরো জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ মিয়ানমারের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্বল অবকাঠামো, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা সামরিক-শাসিত রাজ্যে ত্রাণ প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলবে। কারণ ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে চার বছরের গৃহযুদ্ধেউদ্ধার পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ