মার্চ থেকে কুনমিংয়ে চিকিৎসা নিতে পারবে বাংলাদেশের রোগীরা, প্রত্যাশা চীনের রাষ্ট্রদূতের
Published: 18th, February 2025 GMT
চীনের কুনমিং প্রদেশের সেরা তিনটি হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ধরন, ভিসাপ্রক্রিয়া সহজীকরণ, দোভাষী নির্বাচনসহ সামগ্রিক চিকিৎসাসেবার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কাজ করছেন। সবকিছু ঠিকভাবে এগোলে মার্চের শুরুতে বাংলাদেশের রোগীদের প্রথম দলটি চিকিৎসাসেবা নিতে কুনমিংয়ে যাবে—এমনটাই আশা করছে চীন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ কথা জানান।
গত মাসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
গত মাসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বেইজিং সফরের সময় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন ঢাকায় ওই হাসপাতাল তৈরির জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে বিস্তারিত প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে চীন। এ ছাড়া চীন তাদের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বিশেষায়িত আধুনিক সরঞ্জাম দেবে। ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থাপিত ওই চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের জন্য রোবট নিয়ন্ত্রিত ২০টি আধুনিক সরঞ্জাম আগামী মাসের শুরুতে ঢাকায় পৌঁছাবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, কুনমিংয়ে তিনটি হাসপাতাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আগ্রহীদের জন্য ভিসা সহজেই দেওয়া হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত তিনটি হাসপাতালের নামও উল্লেখ করেন। হাসপাতাল তিনটি হলো: দ্য ফার্স্ট পিপলস হসপিটাল অব ইউনান প্রভিন্স; দ্য ফার্স্ট অ্যাফিলিয়েটেড হসপিটাল অব কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটি; এবং ফাওয়াই ইউনান হসপিটাল, চাইনিজ একাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস।
বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় চীনের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে মন্তব্য করবে না বেইজিং। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা, ঐক্য এবং উন্নয়ন দেখতে আগ্রহী চীন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এ দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি: এটিআই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা
দেশের এটিআই (কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, “এটিআইয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। পরে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা”।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি-দাওয়া পূরণে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের কাজ পড়াশোনা করা। তোমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের ওপর ছাড়, আমরা দেখব। তোমাদের দাবি পূরণে সরকার আন্তরিক।”
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা তাদের আট দফা দাবির মধ্যে বিধিসম্মত উপায়ে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে চলমান আন্দোলন বন্ধ করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা, চাকরি গ্রেড, ইন্টার্ন ভাতা, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশগম্যতাসহ বিবিধ বিষয়ের দাবি সরকার আন্তরিকভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এটিআইগুলোতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সরকারকে জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং প্রাপ্ত সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে কাজ করবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে আবু নাঈম সিদ্দিক, আসাদুজ্জামান কবির, মুসা প্রধান, মুনতাসির রহমান ও রায়ন উদ্দিম শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এটিআইগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের ৮ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কাজ চলছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি