নওগাঁর রাণীনগরে গোপনে এক নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া ও টাকা দাবির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- সামিউল ইসলাম ও কালাম শেখ। তারা উপজেলার চকমনু পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই মো.

নাজমুল হক বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি এক নারী গোসল করছিল। এ সময় মামলার এক নম্বর আসামি সামিউল গোপনে গোসলের ভিডিও ধারণ করে। এরপর ইন্টারনেটে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওটি ওই নারী ও তার পরিবারের নজরে এলে ভিডিওটি ডিলিট করেত বলা হয়। কিন্তু ভিডিওটি ডিলিট না করে নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় আজ ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে রাণীনগর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেম উদ্দীন বসুনিয়া বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ র ণ নগর

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠাল তুরস্ক

যুক্তরাজ্যের সরকারি সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) সাংবাদিক মার্ক লোয়েনকে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক। তিনি দেশটিতে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করছিলেন। লোয়েনকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে বিবিসি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে।

বিবিসি বলেছে, লোয়েনকে বুধবার ইস্তাম্বুলে গ্রেপ্তার করা হয়। চলমান বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে কয়েক দিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘আজ (বুধবার) সকালে বিবিসি নিউজের প্রতিবেদক মার্ক লোয়েনকে ইস্তাম্বুল থেকে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। যে হোটেলে তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখান থেকে আগের দিন তুলে এনে তাঁকে ১৭ ঘণ্টা আটক রাখা হয়। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে মার্ক লোয়েন তুরস্কে অবস্থান করছিলেন। আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হওয়ায় তাঁকে তুরস্ক ছাড়তে বলা হয়।’

দেশজুড়ে চলা সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ১ হাজার ৮৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তুরস্কের ১১ জন সাংবাদিকও রয়েছেন।

আরও পড়ুনতুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই একরেম ইমামোগলু২৬ মার্চ ২০২৫

রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বাড়ে। এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এর আগে ২০ মার্চ বিক্ষোভ দমনে পিপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর ইমামোগলুকে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ