‘তিস্তা বাঁচাই’ শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি না, এটি দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
Published: 18th, February 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই, এটি শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি না। এটি সারা দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি। আপনারা এই আন্দোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, আমরা সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছি। প্রয়োজনে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ এলাকার হেলিপ্যাড মাঠে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গতকাল সোমবার থেকে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে দুই দিনের আন্দোলন শুরু করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিস্তা নদীবেষ্টিত নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে চলে সমাবেশ, পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ করেছেন পানির জন্য। সেই দিন মওলানা ভাসানীর লংমার্চে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। প্রশাসনকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ফারাক্কার পানি কিন্তু এখনো আমরা পাই নাই।’
কর্মসূচিতে অংশ নিতে জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী সমর্থকেরা বাস, মিনিবাস, মোটরসাইকেল, কার, মাইক্রোবাসে সভামঞ্চে আসেন। সভা মঞ্চ ও এর আশপাশে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ছিল। মঞ্চের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে করা হয়েছে সারি সারি তাঁবু।
আজ বিকেলের সভায় নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগকে যারা ফিরিয়ে আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরাতে চায়, সমাবেশ থেকে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। এনসিপির বৃহত্তর তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগর জোন এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। কর্মসূচির শুরুতে খামারবাড়ি এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের বিচার, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আদিব। তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের শহীদেরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাঁদের কথা শুনুন।’
সমাবেশে এনসিপির সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাত্র হত্যাকারী সংগঠন, তারা ৫ মে আলেমদের হত্যাকারী সংগঠন, তারা দেশপ্রেমিক সৈনিকদের হত্যাকারী সংগঠন—আমরা তাদের ফিরতে দেব না।’
এ সময় রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার পর এখনো বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চলছে অভিযোগ করে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘এখনো ফার্মগেট এলাকায় চাঁদাবাজি চলছে। আমরা চাঁদাবাজদের এ কাজ করতে দেব না। এ ছাড়া যারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চায়, আমরা তাদের প্রতিহত করব।’
এনসিপির সংগঠক এস এম শোয়াইব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে শহীদদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার উল্লেখ করে শোয়াইব বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে গণহত্যার বিচার করা, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু এখন আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে নাকি আওয়ামী লীগকে মিছিল করার জন্য রাস্তা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।’
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত, মো. আলাউদ্দিন, মো. নিজামউদ্দিন ও আকরাম হুসেইন, সংগঠক ইমরান ইমন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, তেজগাঁও থানার আহ্বায়ক মো. ইরান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘গণহত্যার বিচার চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’, ‘শেখ হাসিনার বিচার চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।