প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদায় পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম সই করা এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, শফিকুল আলমকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব পদে তার কর্মকালীন সরকারের সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো। 

এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম। সেসময় প্রজ্ঞাপনে তার পদমর্যাদা বলা হয়েছিল সচিব। 

সেখানে বলা হয়, শফিকুল আলমকে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) সরকারের সচিব পদমর্যাদা ও ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত) বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদমর য দ

এছাড়াও পড়ুন:

মহেশখালীতে লবণচাষিকে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে শফিউল আলম (২৯) নামের এক লবণচাষি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিরপাড়ার পশ্চিমে লবণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিউল আলম কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে।

মহেশখালী থানার পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করলে লবণচাষি শফিউল আলম গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বেলা একটার দিকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় বিকেল চারটা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মনিরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকালে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযান চালান। একপর্যায়ে কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসীরা চিকনিপাড়ার পশ্চিমে প্যারাবনের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাঁর ছোট ভাই শফিউল আলমকে তারা গুলি করে।

মনিরুল আলম বলেন, তাঁর নিরপরাধ ভাইকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি এই ঘটনার বিচার চান। জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানান।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনাস্থল থেকে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, কোস্টগার্ডের সদস্যদের ধাওয়া খেয়ে জিয়া বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে যাওয়ার পথে শফিউল আলমকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে যুবদল–জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাসহ আটক ৫
  • সাত উপদেষ্টা নিয়ে সন্দ্বীপ যাচ্ছেন উপদেষ্টা ফাওজুল
  • মহেশখালীতে লবণচাষিকে গুলি করে হত্যা