পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার রায় ৫ মার্চ
Published: 18th, February 2025 GMT
পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার রায় ৫ মার্চ
, ঢাকা
বাংলাদেশ
ট্যাগ: পুলিশ, হত্যা, অপরাধ
ছবি মিডিয়া গ্যালারি থেকে (পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খান ফাইল ছবি)
মেটা:
একসার্প্ট:
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় যুক্তি–তর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৫ মার্চ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো.
প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক দিদার।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি–তর্ক উপস্থাপন করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের নিরপরাধ দাবি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই বন্ধু রহমত উল্লাহর সঙ্গে রাজধানীর বনানীর এক বাসায় গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ আটজনের নামে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। তিনি হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রথমে ভারতে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে যান তিনি। সেখানে এখন একজন বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই পলাতক আসামি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রবিউল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া, রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)। আসামিদের মধ্যে রবিউল ও তাঁর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, রহমত উল্লাহর সঙ্গে অভিনয়ের সূত্র ধরেই পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের পরিচয়। টেলিভিশনে দুজন ক্রাইম ফিকশন অনুষ্ঠানে অভিনয় করতেন। এই সূত্রে তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের সঙ্গে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী অভিনয় করত।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই ওই কিশোরী রহমত উল্লাহকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। রহমত উল্লাহ তখন মামুনকেও জন্মদিনের দাওয়াতে আসার আমন্ত্রণ জানান। সেদিন বনানীর ওই বাসার নিচে আসেন মামুন ও রহমত উল্লাহ। কিশোরী বাসার নিচে নেমে তাঁদের বাসার ভেতরে নিয়ে যায়।
বাসায় গিয়ে দেখেন জন্মদিনের আয়োজনই নেই। মামুন ও রহমত উল্লাহকে খুনিরা বলেন, ‘তোরা কারা, এখানে কেন এসেছিস?’ তখন মামুন পুলিশ পরিচয় দিলে খুনিরা তাঁর ঘাড়ে আঘাত করেন। তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলেন। রাত ১২টার দিকে খুনিরা বুঝতে পারেন, মামুন মারা গেছেন।
আরও পড়ুনআঙুল কেটে খুনিরা নিশ্চিত হয় পুলিশ কর্মকর্তা মৃত১১ এপ্রিল ২০১৯মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলেন, লাশ গুম না করলে তাঁরা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তাঁর বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে সেখানে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও তাঁর (মামুন)। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। স্বপন বলেন, ‘এখন আমরা কী করব? আপনি সকালে এখানে আসেন।’
পরে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তাঁর ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন। সকাল সাতটার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের লাশ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে লাশ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রোডে যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক।
আরও পড়ুনআরাভের আনা বস্তায় ভরে পোড়ানো হয় পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের লাশ১৮ মার্চ ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বপন
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি
২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। একই কারণে এর আগে ওএসডি করা হয় আরও ১২ ডিসিকে।
বিস্তারিত আসছে...