বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাফেজ তাকরিম নিহত
Published: 18th, February 2025 GMT
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. তাকরিম শেখ (২০) নামে কুরআনের হাফেজ নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজ বাড়িতে বিদ্যুতের কাজ করার সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
তাকরিমের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ভুল তথ্য দিয়ে দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে ফকিরহাটে নিহত তাকরিম শেখ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাকরিম ভিন্ন ব্যক্তি।
নিহত তাকরিম শেখ ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোসলেম উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি উপজেলার ভবনা দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং খুলনার রায়ের মহল হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে কুরআনের ৩০ পারা হেফজ সম্পন্ন করেন।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে পিকআপে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৬
পিকআপকে ধাক্কা দিল কাভার্ড ভ্যান, নিহত ৫
নিহতের পরিবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করার সময় আকস্মিকভাবে বৈদ্যুতিক শকে আক্রান্ত হন তাকরিম শেখ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে ভুলবশত এটিকে আন্তর্জাতিক হাফেজ তাকরিমের মৃত্যু বলে প্রচার করছেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘তাকরিমের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। জনসাধারণকে অনুরোধ করছি কোনো তথ্য যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছাড়ানোর জন্য।’’
ঢাকা/শহীদুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত কর ম শ খ
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।