জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মো. ইব্রাহীম খলিল নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

তিনি এ সংক্রান্ত তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। সেগুলো হলো— প্রতি ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স প্রদান; বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধাসম্পন্ন (এমআরআই, এক্স-রে, সিটি স্ক্যানসহ) পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে রূপান্তর এবং চলতি অর্থবছরের মধ্যেই উল্লিখিত দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ইব্রাহীম খলিল বলেন, “গতকাল সোমবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া হয়। কিন্তু তখন দেখা যায় সিলিন্ডারে অক্সিজেন নেই। এটি খুবই দুঃখজনক ও বিপজ্জনক।”

তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসের মেডিকেল সেন্টার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। তাই আমি এসব দাবি জানিয়ে এখানে বসেছি এবং প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনও করেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমি কর্মসূচি চালিয়ে যাব।"

আগামীকাল আবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় ইব্রাহিম খলিল অবস্থান কর্মসূচি থেকে উঠে যান।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হতে যাওয়া ‘রিবিল্ডিং দ্য নেশন’ কনসার্টটি হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার  রাতে স্থগিতের বিষয়টি আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন। 

তবে হঠাৎ করেই একদিন আগে কেন আলোচিত এ কনসার্টটি স্থগিত করা হলো সে বিষয়টি দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আয়োজকদের একজন জানিয়েছেন নিরাপত্তা ইস্যুতে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। 

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠ, আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আয়োজকরা জানান, নিরাপত্তার কারণে কনসার্টটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কখন কনসার্টটি হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

আয়োজকদের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়, ‘এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ উন্মুক্ত কনসার্ট হতে যাচ্ছে। কনসার্ট ভেন্যুতে কয়েক লাখ মানুষ একসঙ্গে নিরাপদে গান শুনতে পারবে। 

‘তাদের সামনে দেশের বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে। আমরা দেশীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্টের লাইনআপ সাজিয়েছি; যারা আন্দোলনের সময় নিজেদের ক্যারিয়ারের চিন্তা না করে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’

প্রসঙ্গত, এই কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে গান গাওয়ার কথা ছিল নগর বাউল জেমস। আরও গান শোনানোর কথা ছিল ব্যান্ড চিরকুট, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাস, বেঙ্গল সিম্ফনি, বাংলা ফাইভ, ক্রিপটিক ফেইট, কুঁড়েঘর, কাকতাল, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানসহ অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ