সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের
Published: 18th, February 2025 GMT
সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে তারিক উল হাকিম ও সুমাইয়া খায়েরকে মনোনীত করা হয়েছে। তারিক উল হাকিম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আর সুমাইয়া খায়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। আজ মঙ্গলবার এক সভায় ওই দুজন সদস্যের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাউন্সিলের প্রথম সভা আজ বেলা আড়াইটায় প্রধান বিচারপতির কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুজন সদস্য নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার পর উল্লিখিত দুজনের নাম চূড়ান্ত করা হয়। এই দুই সদস্যসহ সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সভা ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে, অধ্যাদেশ অনুসারে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে সুপারিশের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল নামে একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে বলা হয়। অধ্যাদেশ অনুসারে সাত সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হবে। আর এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি।
অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী, আপিল বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে কর্মে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বিচারকদের মধ্য থেকে কর্মে প্রবীণতম দুজন বিচারক (বিচার কর্ম বিভাগ হতে নিযুক্ত ব্যতীত একজন এবং বিচার কর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত একজন), আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল (যিনি পদাধিকারবলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান) এবং একজন আইনের অধ্যাপক বা আইনবিশেষজ্ঞ—সদস্য হিসেবে থাকবেন। বিধান অনুসারে চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি এবং একজন আইনের অধ্যাপক বা আইনবিশেষজ্ঞকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করবেন। বিধান অনুসারে, মনোনয়নের দিন থেকে তাঁদের মেয়াদ হবে দুই বছর এবং এমন কোনো সদস্যকে পরবর্তী অনধিক দুই বছরের জন্য পুনরায় মনোনীত করা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত একজন ন ত কর অন স র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
একুশে বইমেলায় ফাল্গুনী তানিয়া`র তিন বই
ফাল্গুনী তানিয়া মূলত একজন গবেষক। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি তিনি বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাঁখায় বিচরণ রয়েছে তার। এবারের অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। এর মধ্যে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধের, অন্য দুটি শিশুতোষ বই।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু করে মার্ক্সবাদ, নিম্নবর্গ, নারীবাদ, নব্য ইতিহাসবাদ, হাংরি আন্দোলন তত্ত্বসহ উপন্যাস, কবিতা, শিশুতোষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে লেখা উনিশটি প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিক হয়েছে গবেষণামূলক প্রবন্ধের ‘পাঠ ও পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের সাহিত্য’ বইটি। এটি প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে।
এই গ্রন্থে সংকলিত প্রবন্ধগুলোতে ইম্প্রেশনিজম, মার্ক্সবাদ ফেমিনিজব্দ, সাবজস্টার্ন তত্ত্ব, উত্তর-ঔপনিবেশিক তত্ত্ব, নিও-মিস্টিসিজম ইত্যাদি তত্ত্বকে বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাশ্চাত্যের ভাত্ত্বিক ভাবনার শাশাপাশি প্রাদের হাংরি আন্দোলন এবং দেবেশ রায় কথিত প্রাচ্যের নিজস্ব গঠনরীতির অনুসন্ধান রয়েছে গ্রন্থটিতে। তবে সেগুলো তত্ত্ব ভারে ভারাক্রান্ত নয়, সহজ গদ্যে লেখা। গবেষণা ও ক্রিটিকাল থিঙ্কিংয়ের সক্ষমতার জন্য বিশেষ জরুরি বলে বিবেচনা করে প্রবন্ধকারের চিন্তার সারাৎসাত্রই এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মনোবিশ্লেষণ ও গভীর উপলব্ধির জন্য চিন্তার খোরাক রয়েছে এই গ্রন্থে। প্রবন্ধগুলো হয়ে উঠেছে ইতিহাস চেতনার এক অনন্য দলিল।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় জোবায়ের মিলনের গল্পগ্রন্থ ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’
বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণগ্রন্থ ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’
এবারের মেলায় বাংলাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ফাল্গুনী তানিয়ার প্রথম শিশুতোষ বই ‘হারিয়ে গেল বানর ছানার মা’।
বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘দুটো শিশুর সঙ্গে পরিণত হচ্ছি আমি। তাই ওদের চাহিদা মেটাতে শিশুদের জন্য লিখতে উৎসাহী হয়েছি। বইটি পড়লে শিশুরা বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনারা যারা বইটি শিশুদের পড়াবেন, ধাঁধাঁর মত করে আগে জিজ্ঞেস করতে পারেন এই বৈশিষ্ট্যগুলো কোন প্রাণীর বলোতো।’’
অন্য শিশুতোষ বই ‘তুমিই সেরা’ প্রকাশ করেছে পরিবার পাবলিকেশন্স। বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘‘প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র। শিশুবান্ধব পৃথিবী গড়ার জন্য সব শিশুর মনে তারা যে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বোধটি তৈরি করা জরুরী। শিশুরা তাদের প্রকৃত ভালোবাসার জায়গাটি চিহ্নিত করতে পারলে অবশ্যই একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। তুমিই সবার সেরা বইটি পড়লে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। জীবনের দুঃসময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’’
ফাল্গুনী তানিয়ার জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২, যশোর জেলার শার্শা থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম ফুলসরে। পিতা মো. নাসির উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মাতা বেগম তাহমিনা অত্যন্ত মুক্তমনের মানুষ।
ফাল্গুনী তানিয়ার প্রথম গ্রন্থ 'হিমু এবং আমরা' হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী চরিত্র হিমুকে কেন্দ্র করে।
ঢাকা/হাসান/লিপি