ইউপি নির্বাচন আগে হলে আ.লীগ ঢুকে পড়বে : টুকু
Published: 18th, February 2025 GMT
ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হলে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ‘‘একটি পক্ষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে চিল্লাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় যে সকল আওয়ামী লীগার আছে, জানের ভয়ে পালিয়ে আছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করা মানে গ্রামে মহল্লায় ভাগাভাগি, মারামারি; তার মধ্যে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে।’’
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘সংস্কার প্রস্তাব তো আমরা প্রত্যাখ্যান করি নাই। আমরা শুধু কোন কোন জায়গায় একমত নই, তা জানিয়ে দিয়েছি। এখন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে যদি অস্বীকার করা হয়, সেটা তো মানব না।’’
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন : তারেক রহমান
বিএনপিতে সুযোগ সন্ধানীদের স্থান নেই: দুলু
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা নয়। তাদের কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। স্থানীয় নির্বাচনের অর্থ আবার আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা। আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে লাগবে দুই বছর। সেই সুযোগে অন্তবর্তী সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য থেকে যাবে। এটি হবে না। তাই আগে জাতীয় নির্বাচন, তারপরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে।’’
প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বড় প্রতিবেশী, আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আপনি যদি বড় প্রতিবেশী হয়ে সবসময় আমাদের সঙ্গে মোড়লগিরি করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। এই বাস্তবতা আপনি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।’’
টুকু বলেন, ‘‘ভারত যে ভালো প্রতিবেশি তার প্রমাণ দিতে পারছে না। তাই বাংলাদেশের আপামর জনতা আজ ভারতবিরোধী হয়ে গেছে। এই বাস্তবতা বুঝুন, বুঝে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করুন, আমাদের দিকে হাত পাতান। আমরা হাত বাড়িয়ে দেবো কিন্তু অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিবেন, ফেলানীকে ঝুলিয়ে রাখবেন, আমার ন্যায্য হিস্যা দিবেন না; তারপরও যদি আমাদের কাছে সুপ্রতিবেশী সুলভ ব্যবহার চান, তাহলে তো পাবেন না।’’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত খালেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, আক্তারুজ্জামান আক্তার প্রমুখ।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ